কলকাতা, লাইফস্টাইল Thakur Pujo: ঠাকুর পুজোয় দেওয়া হয় ঘি- মধু, ভক্তিভরে তাই মিশিয়ে দেওয়া প্রসাদে, তাতে ভেজাল নেই তো, তাহলে কিন্তু বড় ক্ষতি Gallery June 14, 2024 Bangla Digital Desk : প্রায় বাড়িতেই দেবতার পূজো হয়।আর সেই দেবতার পূজোতে পূজোর প্রসাদের সঙ্গে পঞ্চমৃত থেকে আরম্ভ করে আরো নানা পদের প্রসাদ তৈরি হয়।সেই প্রসাদে বেশির ভাগেই মধু ,ঘি ব্যবহৃত হয়। যারা পুজো করেন,তারা ঘি মধু থেকে আরম্ভ করে আরও বেশ কয়েকটি উপাদান দশকর্মা ভান্ডার থেকে কিনে নিয়ে যান। কোন সময় কি ভেবে দেখেছেন? ভগবান পুজো করতে যে ঘি মধু ব্যবহার করছেন,সে গুলি গুণমানে সঠিক কিনা? একটু ভেবে দেখুন,মধু এবং ঘি।যে প্রসাদ গুলোর সঙ্গে মেশানো হয়।সেই প্রসাদ অন্তত পক্ষে ৫০ থেকে ১০০ জন খেয়ে থাকেন।কোন কোন জায়গায় আরো বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে,পুজোর মধু হিসাবে যা ব্যবহার হয়।তার বেশির ভাগটাই নিম্নমানের।ঘি নিয়ে তো প্রশ্ন না করাই ভালো বলে তাদের মত। যদিও পুজোতে ঘি বেশিরভাগটাই হোম কিংবা জ্বালিয়ে ফেলার কাজে লাগে।একটি ছোট্ট উদাহরণ যেমন,লক্ষ্মী পুজোর সময় ছোট ছোট শিশিতে যে মধু বিক্রি হয়,সারা পশ্চিমবাংলায় সেই মধুর পরিমাণ যদি ধরেন,তাহলে বেশ কয়েক টন হতে পারে।ঘি তারও কিছুটা বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয়। আমাদের রাজ্যে যে পরিমাণে মধু উৎপাদন হয়,তা চাহিদার তুলনায় অনেকটা কম।সে রকমই জোগানে কম ঘি।কেউ কেউ বলছেন সাধারণ মানুষের চেতনা থাকলেও,চেতন নেই। সামান্য পুজোর প্রসাদের মাধ্যমে যে পরিমাণে ক্ষতিকারক জিনিস মানুষের দেহে প্রবেশ করছে।তাতে যথেষ্ট বিপদের আহ্বান থাকে।স্বাস্থ্য দফতর কিংবা সংশ্লিষ্ট কোন দফতরকেই এই জিনিসগুলো নিয়ে কোনওভাবেই তদারকি করতে দেখা যায় না বলে অভিযোগ।স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন মানুষের শরীরে মারণ রোগ ঢুকছে খাবারের মাধ্যমে। সেই মারণ রোগ যেভাবে পুজোর প্রসাদের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে, সেটা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো সজাগ না হলে, তা ভয়ংকর স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখি যে,মাঝে মাঝে প্রসাদ খেয়ে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।পুজোর প্রসাদের বেশির ভাগের অংশীদার কিন্তু শিশুরা। Input- SHANKU SANTRA