উত্তরপ্রদেশে বাড়ছে বন্য পশুদের আক্রমণ

Uttar Pradesh: বাড়ছে বন্য পশুদের অত্যাচার, ঘুম উড়ছে গ্রামবাসীদের! কারণ ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞের

পিলিভিট: জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে এসে মানুষকে আক্রমণ। গত কয়েকদিনে উত্তরপ্রদেশে এমন একাধিক ঘটনা বারবার সামনে চলে আসছে। পিলিভিটের কথাই যদি ধরা হয়, গত এক দশকে সেখানে এই সমস্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে লোকাল ১৮-কে এক সাক্ষাৎকারে নানা ইস্যুর কথা তুলে ধরেছেন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ কেশব আগরওয়াল৷ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, জঙ্গলের আকার ছোট হয়ে যাওয়া, পর্যাপ্ত খাবারের অভাবের মতো বিষয়গুলি সামনে টেনে এনেছেন তিনি৷ গুরুত্ব দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে বাঘেদের সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারটিকেও৷

আরও পড়ুন : বাজারে আসতেই হুড়োহুড়ি শুরু, এই শহরে প্রথম দিনেই বিক্রি হল ১০০ আইফোন!

কেশব আগরওয়াল বলেছেন, “সারা দেশে বন্য প্রাণীদের আতঙ্ক বেড়েছে৷ পিলিভিটের বাঘ, নেকড়ে এবং উদয়পুরে চিতাবাঘের আতঙ্ক আজকাল খবরে শিরোনামেই থাকছে। পিলিভিট এই বিষয়ে খুবই সংবেদনশীল জায়গা। এখানে টাইগার রিজার্ভ রয়েছে৷ বাঘের জনসংখ্যার হারও এখানে অনেক বেশি৷ পিলিভীত টাইগার রিজার্ভের মোট এলাকা মাত্র ৩০-৩৫টি বাঘ থাকার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০-এ৷”

আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! মন্দিরের পাশে ঘুমোচ্ছিলেন দম্পতি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিষে দিল গাড়ি

তিনি আরও যোগ করেছেন, পিলিভিটের জঙ্গলের আয়োতন বেশ কম৷ মেরে কেটে ৩-৫ কিলোমিটারের। বিঘার পর বিঘা জঙ্গল কেটে সাফ করে ফেলা হয়েছে৷ সেখানে গড়ে উঠেছে বাড়ি বা চাষের ক্ষেত৷ তাই পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে তাই বাঘ ঘুরতে ঘুরতে গ্রাম বা মাঠে চলে আসে৷ সেখানে তারা সহজেই গরু-ছাগল শিকার করে৷ এরপরে এটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়৷

কেশব আগরওয়াল বন্যপ্রাণী নিয়ে বলতে গিয়ে ২০২২ সালের WWF-এর একটি রিপোর্টের কথা বলেছেন৷ যেখানে বলা হয়েছে গোটা বিশ্বেই বন্যপ্রাণী শিকারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ভারতের সেই সংখ্যাটা নেমেছে ৫৫%৷ যা রেকর্ড। তাঁর মতে, বন্য প্রাণের সংখ্যা বাড়লেও পর্যাপ্ত জমি ও খাদ্যের অভাবই নেকড়ে, বাঘেদের টেনে নিয়ে আসছে জনবসতিপূর্ণ এলাকায়৷