শনিবার আরজি কর হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসক লহরী সরকার, অনিকেত মাহাত এবং রক্তিম মজুমদার৷

Junior doctors join work: ধর্না মঞ্চ থেকে সোজা আরজি করের ওটি-তে! কর্মবিরতি তুলে চেনা ভূমিকায় অনিকেত, লহরীরা

কলকাতা: জুনিয়র চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, আন্দোলনে ইতি না টানলেও শনিবার থেকে জরুরি পরিষেবা শুরু করবেন তাঁরা৷ সেই মতো ৪২ দিনের টানা কর্মবিরতি শেষে শনিবার সকাল থেকেই আরজি কর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে কাজে ফিরতে শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

শুধু জরুরি পরিষেবা দেওয়াই নয়, গত কয়েকদিনে আরজি কর আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠা জুনিয়র চিকিৎসকদের কয়েকজন শনিবার আরজি কর হাসপাতালেই রোগী অস্ত্রোপচারও করলেন৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা অনিকেত মাহাতও চিকিৎসকদের ওই দলে ছিলেন৷ এ ছাড়াও ছিলেন চিকিৎসকর লহরী সরকার এবং রক্তিম মজুমদারও৷

আরও পড়ুন:

শনিবার আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা রোগীর অস্ত্রোপচার করেন শল্যচিকিৎসক লহরী সরকার এবং রক্তিম মজুমদার৷ অ্যানেস্থেটিস্ট হিসেবে ওই দলে ছিলেন চিকিৎসক অনিকেত মাহাত৷

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর আন্দোলনে নামেন ওই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়ারা৷ এর পরে একে একে কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরাও আন্দোলনে যোগ দেন৷ শুরু হয় কর্মবিরতি৷ ক্রমশ গোটা দেশের জুনিয়র চিকিৎসকরাই এই আন্দোলনে যোগ দেন৷

একটানা আন্দোলনেও তদন্তে প্রত্যাশিত অগ্রগতি এবং পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার তাঁদের আলোচনা ভেস্তে যায়৷ শেষ পর্যন্ত গত ১৬ সেপ্টেম্বর কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বৈঠকে জট কিছুটা কাটে৷ তার পরেও কর্মবিরতি চালিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা৷

বুধবার ফের একবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ গতকাল সিবিআই-এর দফতর সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনের সামনের ধর্না কর্মসূচি শেষ করেন আন্দোলনকারীরা৷ ধর্না মঞ্চ থেকে ফিরেই ছুরি, কাঁচি, স্থেথোস্কোপ হাতে পরিচিত ভূমিকায় ফিরলেন অনিকেত মাহাত, কিঞ্জল চন্দরা৷ ভরসা পেলেন রোগীরাও৷