থাই ফোর কেজি

Bankura News: দিল্লি থেকে এল বাঁকুড়ার আম্রপালির ডাক, একদিনে পাড়ি দিল সাত টন আম

বাঁকুড়া: অদ্ভুত দর্শন এক্সোটিক আম বাঁকুড়া থেকে যাচ্ছে দিল্লি। মানুষের মাথার চেয়ে বড় এই আম আকারে কুমড়োর সমান। উৎপাদন করা হয়েছে বাঁকুড়ায়, এবার দিল্লির মেলা কাঁপিয়ে দিতে পাড়ি দিল বাঁকুড়া থেকে। বাঁকুড়া জেলা উদ্যান পালন দফতরের হাত ধরে, বাঁকুড়া জেলা থেকে সাত টন আম পাড়ি দিল দিল্লিতে।

দিল্লিতে বসতে চলেছে একটি বিশাল আমের মেলা, আর সেই আমের মেলাতে ডাক এসেছে বাঁকুড়ার আম্রপালি আমের। পৃথিবী বিখ্যাত আম্রপালি আম উৎপাদনে বাঁকুড়া জেলা এক নম্বর, আর সেই কারণেই প্রথম দফায় প্রায় সাত টন আম পাড়ি দিল দিল্লিতে। জেলার আম চাষিদের কাছে আম নিয়ে জেলা উদ্যান পালন দফতর একদিনে টন টন আম পাঠাল রাজধানীতে। উদ্যান পালন দফতর সূত্রে খবর বাঁকুড়ায় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫০০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে বলে। যা ২০২৩ এর তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। এই কম উৎপাদন থাকা সত্ত্বেও আম্রপালি, হিমসাগর, মল্লিকা এবং গোলাপখাস প্রজাতির আম পাড়ি দিল দিল্লি যার মধ্যে মূল আম্রপালি।

আরও পড়ুন-   গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

টন টন আম জড়ো করে প্রথমে আকার এবং প্রজাতি অনুযায়ী ভাগ করা হয়। একাধিক মানুষের সহযোগিতায় আম গুলিকে পোকার হাত থেকে বাঁচাতে এবং শুকনো রাখতে স্পঞ্জের জামা পরানো হয় আমগুলিকে। এবার পৃথক পৃথক বাক্সবন্দী করে দিল্লিতে পাঠাবার প্রস্তুতি শেষ করা হয়। বলাই বাহুল্য রয়েছে কিছু এক্সোটিক প্রজাতির আম যেমন বিশাল আকার “থাই ফোর কেজি”, যার ওজন ৪ কিলো এবং বাজারে বিক্রি করা হয় ৬০০-৭০০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে। এছাড়াও আমেরিকান রেড পামার এবং ৫০০০ টাকা প্রতি পিস মূল্যে বিক্রি হওয়া মিয়াজাকি আমও বাঁকুড়ার লাল মাটি থেকে পাড়ি দিল দিল্লি। আম উৎপাদনকারী নিত্যানন্দ গড়াই বলেন, “বাঁকুড়ার মাটির আম সব থেকে মিষ্টি। টিএসএস ফ্যাক্টর সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বাঁকুড়ার লাল মাটিতে। সেই কারণেই আমাদের আম মানুষের এত প্রিয়।”

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

কি ভাবছেন? প্রান্তিক জেলা লাল কাঁকুড়ে মাটির বাঁকুড়ায় এত ভিন্ন প্রজাতির আম উৎপাদন হচ্ছে, আর আপনি জানতেই পারছেন না! বিগত কয়েক বছর ধরে এই আমগুলি পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছিল। সফলতা এসেছে খুবই ভাল, সে কারণেই বাঁকুড়ার আম্রপালি থেকে শুরু করে এক্সোটিক আম, সবই পাড়ি দিচ্ছে দিল্লি থেকে বিদেশ।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী