লাইফস্টাইল Curd: গুণের ভাণ্ডার, রোজ খাচ্ছেন দই? সাবধান, কাদের খাওয়া একেবারে বারণ? শরীরের দফারফা হওয়ার আগেই জানুন Gallery September 23, 2024 Bangla Digital Desk ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এখন শরত্কাল। কিন্তু ভ্যাপসা গরমের দাপটে হাঁসফাঁস অবস্থা বেশিরভাগের। আবার যখন তখন নিম্নচাপের প্রভাবে শুরু হচ্ছে বৃষ্টি। ফলে ‘নিখোঁজ শরত্’, অযাচিত অতিথির মতো হাজির কখনও গ্রীষ্ম, কখনও বর্ষা। এমন আবহাওয়ায় শরীরে বাসা বাঁধছে রোগজীবানু। সুস্থ থাকতে অন্যতম সেরা খাবার হল দই। দইয়ের গুণাগুণের শেষ নেই। বিশেষত ভ্যাপসা গরম এবং যখন তখন বৃষ্টির ফলে প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন প্রচুর মানুষ। কেউ হজমের সমস্যায় ভুগছে, তো কেউ আবার কফ, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। শরীর সুস্থ রাখতে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু খাদ্যদ্রব্য হিসেবে দই যতই উপাদেয় হোক না কেন, দই খাবার ক্ষেত্রেও থাকে বহুবিধিনিষেধ। বেঙ্গালুরুর অ্যাপোলো হাসপাতালের চিফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি জানালেন কোন ক্ষেত্রে কখন খাওয়া যাবে না দই। আবার দই সম্পর্কে অনেক ভুলও ভাঙলেন তিনি। যেমন, অনেকেই মনে করেন ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি-কাশি হলে দই খাওয়া উচিত নয়। ১ হজমে গোলযোগ- রাতে দই খেলে হজমে গোলযোগ হতে পারে। এছাড়াও যেহেতু এতে প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকে তাই হজম করতে সমস্যা হয়। কারণ রাতে মেটাবলিজম কম থাকে। ডাঃ প্রিয়াঙ্কা বলেছেন যে আয়ুর্বেদে দইকে কাশি দমনকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয় তবে অ্যালোপ্যাথিতে এমন কিছুই নেই। সর্দি-কাশির সঙ্গে দই খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সর্দি এবং কাশি হয়। এই উভয় ক্ষেত্রেই দই কোনও ক্ষতি করে না কারণ দই প্রোবায়োটিকের সেরা উত্স। দই খেলে পাকস্থলীতে ভাল ব্যাক্টেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে দই খাওয়া একদিক থেকে উপকারী বলেই মত চিকিত্সকের। তবে এত উপকারী দই খাওয়ার ক্ষেত্রেও মেনে চলা উচিত কিছু বিধিনিষেধ। ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি জানালেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা দইতে অ্যালার্জি রয়েছে কারও কারও। দই থেকেও যে অ্যালার্জি হতে পারে তা বুঝতেই পারেন না বহুজন। ফলে অ্যালার্জি থাকা সত্ত্বেও দই খেতে থাকেন প্রচুর ব্যক্তি। এক্ষেত্রে দই খেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সর্দি-কাশিও হতে পারে। দ্বিতীয়ত, কারও যদি টনসিল বড় হয়ে থাকে এবং তিনি সর্দি-কাশিতে ভুগছেন এবং তারপর তিনি যদি দই খান, তবে এই পরিস্থিতিতে তার সংবেদনশীলতা বাড়তে পারে। নইলে দই খেলে সচরাচর কারও সর্দি-কাশি বাড়ে না।