চলছে মৃন্ময়ী প্রতিভা গড়ার কাজ

Durga Puja 2024: পেরিয়েছে ২২৫ বছর…এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগরের স্মৃতি

পশ্চিম মেদিনীপুর: জমিদার নেই, নেই জমিদারিত্ব। তবে এখনও নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে দেবী দুর্গার আরাধনায় মাতেন জমিদার পরিবারের উত্তরসুরীরা। যে আড়ম্বরের সঙ্গে আজ থেকে প্রায় ২২৫ বছর আগে পুজো শুরু হয়েছিল, সেই ধারাকে অব্যাহত রেখেছে জমিদার পরিবারের সদস্যরা।

এক সময় ছিল হাতিশালে হাতি, কয়েকশো বিঘা জমি। এখন তার অধিকাংশই নেই। রয়েছে ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়ি। সেখানে এখনও নিয়ম-নিষ্ঠাভরে পুজো হয়। বছরের পাঁচটি দিন দুর্গাপুজো উপলক্ষে থাকে একাধিক আয়োজন। দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়রা আসেন পুজো উপলক্ষে। শুধু তাই নয়, এই পুজোয় মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরাও।

জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজোর রাজকীয়তা এখনও বজায় রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের জাড়া-গ্রামের জমিদার বাড়ির রায় পরিবারের দুর্গাপুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রামমোহনের স্মৃতি।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়িতে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন বিদ্যাসাগর। অংশ নিতেন পুজোতেও। পুজোয় এসেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। এমনই স্মৃতি বিজড়িত জাড়া জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোও হত মহাসমারোহে। ১১৫৫ বঙ্গাব্দে(১৭৪৮ খ্রীস্টাব্দ) জাড়া জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাম গোপাল রায়। পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে রাজা রাজীবলোচন রায় বর্ধমান রাজার থেকে ‘রাজা’ উপাধি পেয়েছিলেন। তারপর থেকে জমিদারি আরও বিস্তারলাভ করে এবং তিনিই জমিদার বাড়িতে দুর্গা পুজোর সূচনা করেছিলেন। সেই পুজোয় আসতেন বহু মনীষী।

বর্তমানে জমিদারি নেই, তবে রয়ে গিয়েছে জমিদার বাড়ির বিশাল প্রাসাদ,যা এখন ভগ্নপ্রায়,আগাছায় ঢাকা।পুজোয় আগের মতো জৌলুস না থাকলেও সমস্ত রীতিনীতি মেনেই পুজোর আয়োজন হয়। নবপত্রিকা স্নান শোভাযাত্রা করে যাওয়া হয় এবং বিসর্জনের দিন পরিবারের সকল সদস্য মিলে বিষাদের সুরে গান গেয়ে বিদায় জানান দেবী দুর্গাকে।

রঞ্জন চন্দ