কলকাতা: ডিভিসির জল ছাড়ায় ইতিমধ্যেই প্লাবিত হাওড়া,হুগলি,-বিস্তীর্ণ এলাকা। এই ছাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘সন্দেহজনকদের গতিবিধি দেখা গিয়েছে!’আরজি কর কাণ্ডে বড় দাবি সিবিআইয়ের! কারা তারা?
এই প্রসঙ্গেই এবারে নিজেদের বক্তব্য পেশ করল ডিভিসি। ডিভিসি জানিয়েছে তাঁরা মোট চারটি বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলি হল যথাক্রমে- মাইথন, পাঞ্চেত, তিল্লাইয়া এবং কোনার। ডিভিসি কমিটির নির্দেশিকার উপর নির্ভর করেই জল ছাড়া হয়েছে। এই দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন কমিটির সদস্যদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, এবং সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের সদস্যরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: আরজি করে ধর্ষণ-খুনে জড়িত নয় সন্দীপ- অভিজিৎ? আদালতে বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের
গাঙ্গেয় অঞ্চলে নিম্নচাপের দরুন ঝাড়খণ্ডে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ডে উপরিভাগে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরে দক্ষিণবঙ্গে আর কোনও বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায় নি।
আমতা চ্যানেল এবং মুণ্ডেশ্বরী নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও শিলাবতী, কংসাবতী, দ্বারেকেশ্বর যা দামোদর নদীর সঙ্গে যুক্ত তাও প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড সরকারের অধীনে থাকা তেনুঘাট বাঁধ ৮৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে।
ডিভিসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সমস্ত ধরনের সতর্কতা নিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। ধীরে ধীরে মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা ৫০ নাগাদ ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিভিসি।