এলপিজি গ্রাহকদের জন্য বড় খবর। সংশ্লিষ্ট ডিলারের কাছে গিয়ে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি করানো কথা আগেই বলা হয়েছিল। ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার।তবে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়োমেট্রিক যাচাই না থাকলেও এখনি বন্ধ হবে না ভর্তুকি। আপাতত কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি ৷ জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের বাড়ি গিয়ে ডেলিভারি করার সময় ডেলিভারি কর্মীরাই আধার যাচাই করতে পারবেন ৷তেল সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আধার লিঙ্ক করার জন্য কোনও টাকা লাগছে না ৷ এছাড়া ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাপ ডাউনলোড করেও আধার যাচাই করে ইকেওয়াইসি সহজেই করা যেতে পারে ৷গ্রাহক গ্যাস ডিলারের কাছে গিয়ে এলপিজি সিলিন্ডারের জন্য ই-কেওয়াইসি করাতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমস্ত গ্যাস ডিলারকে আইসি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ই-কেওয়াইসি-এর জন্য গ্রাহককে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে।সেখানে দিতে হবে নাম, গ্রাহক নম্বর। এর পাশাপাশি স্বামী বা বাবার নামও দিতে হবে। এছাড়াও দিতে হবে ঠিকানার প্রমাণপত্র। ঠিকানা প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, লিজ চুক্তি বা ভোটার আইডি কার্ডের মতো নথি ছাড়াও পাসপোর্ট এবং রেশন কার্ডের জেরক্সও জমা দেওয়া যায়।ই-কেওয়াইসি-র মাধ্যমে গ্রাহকের সমস্ত তথ্য সরকারের কাছে থাকবে। বায়োমেট্রিক লিঙ্ক করা হবে সিলিন্ডারের সঙ্গে। এর দুটি সুবিধা। বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করার প্রথম সুবিধা হল গ্যাস সিলিন্ডারের কালোবাজারি অনেকাংশে কমে যাবে। অভাবী মানুষ সঠিক সময়ে সিলিন্ডার পাবেন। ডিস্ট্রিবিউটররাও যথেচ্ছ হারে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে পারবে না। এছাড়া যাঁরা বেআইনি ভাবে ভর্তুকি নিচ্ছেন, তাঁরা ধরা পড়ে যাবেন। সরকারের উপর যাঁরা অপ্রয়োজনীয়ভাবে ভর্তুকির বোঝা চাপাচ্ছে তাঁদের নাম বাদ যাবে। অসহায় মানুষ ভর্তুকি পাবেন।
