তিনতলা বাড়ির দুতলা জলের তলায়

Hooghly News: পুজোর উচ্ছ্বাস নয়! জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিন গুনছে খানাকুলের মানুষ

হুগলি: নতুন করে জল না বাড়লেও ভোগান্তি বাড়ছে খানাকুলে। এখনও জলমগ্ন খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ২৪টি পঞ্চায়েত এলাকায় ভাসছে ডিভিসি-র ছাড়া জলে। কোথাও একতলা সমান জল জমে রয়েছে। আবার কোথাও এক কোমড় জল দাঁড়িয়েছে রাস্তায়। যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। কোথাও দেখা গেল কলার ভেলায় চড়ে পারাপার করতে। বাধ্য হয়ে অনেকে বাড়ির দোতলায়, আবার অনেকেই উঁচু রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে। এক প্রকার প্রায় প্রতি বছর যে জলযন্ত্রণার ছবি দেখা যায়। তারই ছবি ফের দেখা গেল খানাকুল জুড়ে। সেই পরিস্থিতিতেও পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে দিকে দিকে।

আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরেই আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। তবে হুগলির আরামবাগ খানাকুল তারকেশ্বর এলাকার মানুষদের কাছে পুজোর আনন্দ, উৎসব খানিকটা স্বপ্নের মতো। নিজের ভিটেমাটি ঘরটুকু বাঁচানোর লড়াইয়ের চেষ্টায় রয়েছেন তাঁরা। বন্যার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল এবং খাবার কিছুই সেভাবে মজুত নেই প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে। ১৩৭টি সরকারি ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। উৎসবের আনন্দের ফেরা তো দূরের কথা! এখন তাঁদের কাছে জীবন যাপনের লড়াইটাই অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জলযন্ত্রণার কবলে পড়ে বাড়িঘর হারিয়েছেন অনেকেই। জলের তোরে ভেসে গিয়েছে অনেক পাকা বাড়িও। ত্রিপল খাটিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন বহু মানুষ। তাঁদের কাছে পুজোর আনন্দ এখন স্বপ্নেরই মতো। খানাকুল এলাকায় সব থেকে বেশি বন্যা বিধ্বস্ত। এখনও গৃহহীন কয়েক হাজার পরিবার। প্রশাসন সূত্রে দাবি, সমস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এখন একটাই দুশ্চিন্তা কবে কাটবে এই জল যন্ত্রণা! আবার কবে সব ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দে? সেই আশায় দিন কাটাচ্ছেন খানাকুল বিধানসভার মানুষ।

রাহী হালদার