মশা মারার লিকুইড মেশিন সারারাত জ্বালিয়ে রাখেন? কী কী ক্ষতি হচ্ছে জানেন? দেখুন

কলকাতা: গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, মশার উৎপাতে টেকা দায়। সন্ধ্যা হলেই ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন। চলে সারারাত। এতে মশা কমে। কিন্তু শরীরের বারোটা বাজে। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিনে এক ধরণের রাসায়নিক থাকে। যা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢোকে। এটা অত্যন্ত ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ব্যবহারে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন ডঃ ইমরান আহমেদ।

শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা: ইমরান বলেন, ইলেকট্রিক লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিনে সাধারণত প্রালেথ্রিন এবং অ্যালেথ্রিন নামের রাসয়নিক দেওয়া হয়। দুটোই অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিয়মিত শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসযন্ত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁদের জন্য বিষবৎ।

আরও পড়ুন- পাকিস্তান আর ভারত এক নয়! দ্বিতীয় দিনেই টিম ইন্ডিয়ার জবাবে কুপকাত বাংলাদেশ

ত্বক ও চোখে জ্বালাভাব: লিকুইডে থাকা রাসয়নিক ত্বক ও চোখের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে জ্বালা বা চুলকানি হতে পারে। বিশেষ করে সংবেদনশীল ত্বকে। একইভাবে চোখেও জ্বালাভাব বা চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মাথাব্যথা এবং মাথাঘোরা: লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন জ্বললে সারা ঘরে এক ধরণের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এ থেকে মাথাব্যথা এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হতে পারে। ঘরে যদি ভেন্টিলেটর বা বায়ু চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকে তাহলে এই গন্ধ আরও ক্ষতিকর।

স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব: স্নায়ুতন্ত্রেও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ইলেকট্রিক লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকে কারণ ছাড়াই বিরক্তি, ক্লান্তি, মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। লিকুইডে উপস্থিত রাসয়নিকের কারণে এমনটা হতে পারে।

আরও পড়ুন- পরপর উড়ল উইকেট!বাংলাদেশি ব্যাটারদের ‘চোখে সরষে ফুল’ দেখালেন আকাশ দীপ,রইল ভিডিও

শিশু ও বয়স্কদের জন্য ক্ষতিকর: শিশু ও বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা দূর্বল হয়। ফলে তাঁদের উপর লিকুইডে থাকা রাসয়নিকের প্রভাব দেখা দেয় বেশি। কখনও কখনও তা মারাত্মক হতে পারে। শিশুদের অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২-৩ ঘণ্টার বেশি লিকুইড ভেপোরাইজার মেশিন জ্বালানো ঠিক নয়। সারারাত তো নয়ই। ঘুমনোর ২-৩ ঘণ্টা আগে জ্বালালেই যথেষ্ট। রাতে ঘুমনোর আগে মেশিন অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।