পদ্মপাতায় মুড়িঘুগনি 

Malda News: খবরের কাগজের ঠোঙা নয়, শরীর ফিট রাখতে এই দোকানে বিক্রি হয় পদ্মপাতায় মুড়িঘুগনি

মালদহ: অভিনব তবে পুরনো রেওয়াজ। এখনও মালদহ শহরে বিক্রি হচ্ছে পদ্মপাতায় মুড়িঘুগনি। আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনান্যরা যখন বদলে ফেলেছে পুরনো রেওয়াজ। এই সময়েও এখনও পদ্মপাতায় মুড়ি মাখিয়ে দিচ্ছেন মালদহ শহরের এক বিক্রেতা। বংশপরম্পরায় থেকেই মালদহ শহরের কোর্ট চত্বরে মুড়ির দোকান করে আসছে। বর্তমানে দোকান করছেন সমর মন্ডল। তাঁর ঠাকুরদা শুরু করেছিলেন এই দোকান। তখন থেকেই পদ্মপাতায় মুড়িঘুগনি বিক্রি করছেন। এখনও ঠেলাগাড়িতে এই দোকান মুড়ির দোকান রয়েছে। মুড়ি, ঘুগনি, আলুচপ, ডিম এই সমস্ত খাবার পাওয়া যায়। জেলা আদালত চত্বরে প্রতিনিয়ত প্রচুর মানুষ আসেন। তাঁরাই মূলত এই দোকানে মুড়িঘুগনি কিনে খান। বিক্রেতা সমর মন্ডল বলেন, আমার ঠাকুরদা প্রথম এই দোকান শুরু করেছিল। তখন থেকেই পদ্ম পাতায় বিক্রি শুরু হয়। এখনও সেই রেওয়াজ আমি ধরে রেখেছি পদ্ম পাতায় মোড়ে ঘুগনি বিক্রি করছি।

আরও পড়ুনঃ মাত্র ৪ মাসই মেলে বাজারে! ছোট এই ফল স্বাদে অসাধারণ, গুণেও টইটম্বুর! গরমে চুটিয়ে খান

বর্তমানে মালদহ জেলা আদালত ঢোকার রাস্তার পাশে পার্কের সদরগেটের সামনে ঠেলাগাড়ির দোকান নিয়ে বসছেন সমর মন্ডল। বর্তমানে ১৫ টাকায় মুড়িঘুগনি ও আলুচপ বিক্রি করছেন। পদ্মপাতায় খাওয়ার টানে অনেকেই এখানে ভিড় করেন।কারণ, পদ্মপাতায় খাবারের স্বাদ বদলে দেয়। কাগজের ঠোঙার থেকে পদ্মপাতায় খেতে ভাল লাগে। এমনকি পদ্মপাতায় খাওয়া উপকারী। কাগজের মধ্যে শিশার কালি থাকে। সেগুলি খাবারের সঙ্গে শরীরের মিশে যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এমনকি কাগজে ধুলো থাকে। সেগুলিও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু পদ্মপাতা সেই তুলনায় অনেক পরিষ্কার। অপরদিকে পরিবেশ বান্ধব। ফেলে দেওয়ার পর এই পাতা সহজেই মাটিতে মিশে যায়। পদ্ম পাতায় খাওয়া সমস্ত দিক থেকেই উপকারী। ক্রেতা ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, পদ্ম পাতায় খাওয়া খুব উপকারী। মাঝেমধ্যেই এই দোকানে এসে তাই পদ্ম পাতায় খাই। দীর্ঘদিনের পুরনো এই দোকান।

সমীর মন্ডলের ঠাকুরদা প্রথম থেকেই পদ্ম পাতায় মুড়ি ঘুগনি বিক্রি শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই চাহিদা ব্যাপক ছিল। সেই ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছেন সমীর মন্ডল। ঠাকুরদা বাবার মতো তিনিও পদ্ম পাতায় বিক্রি করছেন এই খাবার। বর্তমানে বাজারে পদ্ম পাতা খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তিনি চড়া দামে পদ্মপাতা কিনে মুড়িঘুগনি বিক্রি করে আসেন। এতে হয়তো তাঁর লাভ কিছুটা হলেও কম হচ্ছে। কিন্তু পদ্ম পাতার টানে খরিদ্দার বেশি হচ্ছে। তিনি বজায় রেখেছেন তার পারিবারিক ঐতিহ্য।

হরষিত সিংহ