পিয়া গুপ্তা
Tag Archives: Snacks
Viral Chop Shop:পকেটে ১০টাকা থাকলেই ভরবে মন! অবাক স্বাদের খনি এই চপের দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়
কোচবিহার: কোচবিহারে এক অভিনব চপের দোকান! সন্ধে নামলেই এই চপের দোকানের সামনে ভিড় জমছে বহু ক্রেতার। কেনই বা ক্রেতারা বারবার ছুটে আসছেন এই দোকানে?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই দোকানের চপ দারুণ সুস্বাদু ও ভাল মানের, যা ইতিমধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মাত্র এক মাস আগে শুরু হয়ে এই চপের দোকান দারুণ ব্যবসাও করছে। মাত্র দশ টাকা দামেই অনেক ধরনের চপ মেলে এই দোকানে।
দোকানের কর্ণধার সুমন মন্ডল জানান, এই দোকান এক মাস হয়েছে তিনি শুরু করেছেন। তবে দোকানে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। সন্ধে হলেই চপ বিক্রি শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন বহু মানুষ এই দোকানে আসছেন সুস্বাদু চপের স্বাদ নিতে। কেউ কেউ তো আবার প্যাকেট করেও নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। তবে দিনে তিনি প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি চপ সহজেই বিক্রি করে ফেলছেন। চপের সুখ্যাতি শুনে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন এই দোকানে।
ক্রেতা জয়দেব সরকার বলেন, “এই দোকানের চপ অন্যান্য দোকানের চপের চাইতে অনেকটাই ভাল মানের। এছাড়া দারুণ সুস্বাদু ।”
তবে এই অগ্নিমূল্যের বাজারে মাত্র ১০ টাকা দিয়ে এত রকমারি চপ কী ভাবে দিচ্ছেন বিক্রেতা? এই প্রশ্ন কিন্তু সকলের মনের মধ্যেই উঠছে। তবে বিক্রেতার দাবি, তিনি অধিক লাভ না রেখে, সামান্য লাভে ক্রেতাদের ভাল মানের জিনিস খাওয়াচ্ছেন। তাই তিনি এত কম দামে চপ বিক্রি করতে পারছেন। গোয়ালা পট্টি এলাকার তারা মহলের ঠিক উল্টোদিকে এই চপের দোকান। পকেটে মাত্র দশ টাকা থাকলেই এই চপের স্বাদ নিতে পারেন! মাটন থেকে চিকেন কী নেই!
আরও পড়ুন- বন্যার সতর্কতা ৪ জেলায়! ডিভিসি না বলেই জল ছাড়ল কেন? কড়া বার্তা নবান্নর
একবারে রাত পর্যন্ত চলছে এই দোকানের কর্মকাণ্ড। গরম কিংবা বৃষ্টি যে কোনও সময়ে এই চপের দোকানের চাহিদা কিন্তু কমতে দেখা যাচ্ছে না। শুধুই জেলার নয় জেলার বাইরের বহু মানুষও এখানে আসছেন এই বিশেষ সুস্বাদু চপের স্বাদ নিতে।
সার্থক পন্ডিত
Tea with Harmful Snacks Combination: চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খান? শিঙাড়া, পকোড়া, অমলেট, ডিমসিদ্ধও চলে? জানুন চায়ের সঙ্গে কোন কোন খাবার খেলেই ঝাঁঝরা শরীর
Foods to Avoid with Tea: সাবধান! গরম চায়ের সঙ্গে এই ৫ খাবার একেবারেই খাবেন না, জানেন কী ভুল হচ্ছে?
কলকাতা: সকাল শুরু হয় চা দিয়ে। তার পর সারা দিনেও অজস্রবার, যখন ইচ্ছে চায়ে চুমুক চলেই। চায়ের কাপে তুফান তোলা বাঙালির বুদ্ধিই খোলে না নাকি চা না হলে। শুধু বাংলায় নয়, এই ধুমায়মান পানীয় ছাড়া অচল দেশ। সব রাজ্যে রাস্তাঘাটে, রেস্তোরাঁ বা ছোট গুমটিতে চা সর্বত্র মেলে। আর চা মানেই তার সঙ্গে টা-ও চলে, যেমন বিস্কুট, সিঙ্গাড়া, চপ, পকোড়া! কিন্তু চাপ্রেমীরা চায়ের সঙ্গে যা কিছু খান তার সবই কি স্বাস্থ্যসম্মত? একেবারেই না। কী কী খাওয়া নিরাপদ আপনার প্রিয় চায়ের সঙ্গে, আর কোনগুলো একেবারেই খাবেন না? জানাচ্ছেন দিল্লির জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ শ্রেয়া কাতিয়াল।
বিস্কুট এবং চা: সবথেকে বেশি যে ভুলটা হয়, সেটা হল চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়া। আমাদের অনেকেরই চায়ে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু জানেন কি, এতেই ডেকে আনছেন বিপদ? বিস্কুট প্রায়শই পরিশোধিত শর্করা এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি দিয়ে ভরা থাকে, যা চায়ের ট্যানিনের সঙ্গে মিলিত হলে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে। বেশি বিস্কুট খেলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও হতে পারে। পরিবর্তে, আপনার চায়ের সঙ্গে হোল গ্রেন স্ন্যাকস বা এক মুঠো বাদাম বেছে নিন।
পকোড়া এবং চা: বর্ষার দিনে ঝাল ঝাল তেলেভাজা খেতে কার না ভাল লাগে! কিন্তু চায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধলেই সর্বনাশ। চপ বা পকোড়ায় ব্যবহৃত অতিরিক্ত তেল এবং পরিশোধিত ময়দা ওজন বৃদ্ধি করে। চায়ের সঙ্গে খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি লোভ সামলাতে না পারেন তাহলে নিদেনপক্ষে এয়ার ফ্রায়ারে ভাজা স্ন্যাক্স কিংবা বেক করা খাবার খেতে পারেন চায়ের সঙ্গে।
আরও পড়ুন- সস্তার সানগ্লাস পরা ভাল না খারাপ? জানলে চমকে যাবেন! একই জিনিস করছেন না তো?
সিঙাড়া এবং চা: একটি লোভনীয় কম্বিনেশন। মুচমুচে, স্বাদে ভরপুর সিঙাড়া জনপ্রিয় স্ট্রিটফুডও। তবে দুধচায়ের সঙ্গে খেলে উচ্চ চর্বিযুক্ত সামগ্রী আপনার পরিপাকতন্ত্রকে ধ্বংস করতে পারে। আপনার স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সিঙ্গাড়া খাওয়া কমান। আর চায়ের সঙ্গে তো একেবারেই না।
চিনিযুক্ত মিষ্টি চা: লিকার চা অনেকে তাও চিনি ছাড়া খান। কিন্তু দুধ চা? চিনি ছাড়া স্বাদই হয় না। কিন্তু চিনি দিয়ে দুধচা খাওয়া খুবই ক্ষতিকর। বার বার চায়ের সঙ্গে শরীরে চিনি ঢুকতে থাকে। অ্যাসিডিটি বাড়ে তো বটেই, রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়ে। দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। পরিবর্তে, আপনার চায়ে গুড় বা মধুর মতো স্বাস্থ্যকর মিষ্টির বিকল্পগুলি বেছে নিন।
এছাড়াও পুষ্টিবিদের নির্দেশ, খুব মশলাদার খাবারের সঙ্গে চা না খাওয়ার। তাতে অ্যাসিডে জ্বলে যেতে পারে গলা-বুক। চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিনের সঙ্গে যে কোনও কিছুরই বনে না! আর গরম চায়ের সঙ্গে যেটা একেবারেই খাবেন না, সেটা হল ঠান্ডা খাবার। ঠান্ডা মিষ্টি বা কেক জাতীয় খাবার গরম চায়ের সঙ্গে খেলে পরিপাকতন্ত্রে বড়সড় গোলযোগ দেখা দিতে পারে। তাপমাত্রার হেরফেরে খাবার হজম হবে না। বমি বমি ভাব এমনকি বমিও হয়ে যেতে পারে।
অতএব, চায়ে চুমুক চলতে থাকুক। সঙ্গে টা-টুকু বুঝেশুনে!
Malda News: খবরের কাগজের ঠোঙা নয়, শরীর ফিট রাখতে এই দোকানে বিক্রি হয় পদ্মপাতায় মুড়িঘুগনি
মালদহ: অভিনব তবে পুরনো রেওয়াজ। এখনও মালদহ শহরে বিক্রি হচ্ছে পদ্মপাতায় মুড়িঘুগনি। আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনান্যরা যখন বদলে ফেলেছে পুরনো রেওয়াজ। এই সময়েও এখনও পদ্মপাতায় মুড়ি মাখিয়ে দিচ্ছেন মালদহ শহরের এক বিক্রেতা। বংশপরম্পরায় থেকেই মালদহ শহরের কোর্ট চত্বরে মুড়ির দোকান করে আসছে। বর্তমানে দোকান করছেন সমর মন্ডল। তাঁর ঠাকুরদা শুরু করেছিলেন এই দোকান। তখন থেকেই পদ্মপাতায় মুড়িঘুগনি বিক্রি করছেন। এখনও ঠেলাগাড়িতে এই দোকান মুড়ির দোকান রয়েছে। মুড়ি, ঘুগনি, আলুচপ, ডিম এই সমস্ত খাবার পাওয়া যায়। জেলা আদালত চত্বরে প্রতিনিয়ত প্রচুর মানুষ আসেন। তাঁরাই মূলত এই দোকানে মুড়িঘুগনি কিনে খান। বিক্রেতা সমর মন্ডল বলেন, আমার ঠাকুরদা প্রথম এই দোকান শুরু করেছিল। তখন থেকেই পদ্ম পাতায় বিক্রি শুরু হয়। এখনও সেই রেওয়াজ আমি ধরে রেখেছি পদ্ম পাতায় মোড়ে ঘুগনি বিক্রি করছি।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ৪ মাসই মেলে বাজারে! ছোট এই ফল স্বাদে অসাধারণ, গুণেও টইটম্বুর! গরমে চুটিয়ে খান
বর্তমানে মালদহ জেলা আদালত ঢোকার রাস্তার পাশে পার্কের সদরগেটের সামনে ঠেলাগাড়ির দোকান নিয়ে বসছেন সমর মন্ডল। বর্তমানে ১৫ টাকায় মুড়িঘুগনি ও আলুচপ বিক্রি করছেন। পদ্মপাতায় খাওয়ার টানে অনেকেই এখানে ভিড় করেন।কারণ, পদ্মপাতায় খাবারের স্বাদ বদলে দেয়। কাগজের ঠোঙার থেকে পদ্মপাতায় খেতে ভাল লাগে। এমনকি পদ্মপাতায় খাওয়া উপকারী। কাগজের মধ্যে শিশার কালি থাকে। সেগুলি খাবারের সঙ্গে শরীরের মিশে যায়। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এমনকি কাগজে ধুলো থাকে। সেগুলিও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কিন্তু পদ্মপাতা সেই তুলনায় অনেক পরিষ্কার। অপরদিকে পরিবেশ বান্ধব। ফেলে দেওয়ার পর এই পাতা সহজেই মাটিতে মিশে যায়। পদ্ম পাতায় খাওয়া সমস্ত দিক থেকেই উপকারী। ক্রেতা ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, পদ্ম পাতায় খাওয়া খুব উপকারী। মাঝেমধ্যেই এই দোকানে এসে তাই পদ্ম পাতায় খাই। দীর্ঘদিনের পুরনো এই দোকান।
সমীর মন্ডলের ঠাকুরদা প্রথম থেকেই পদ্ম পাতায় মুড়ি ঘুগনি বিক্রি শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই চাহিদা ব্যাপক ছিল। সেই ঐতিহ্য আজও ধরে রেখেছেন সমীর মন্ডল। ঠাকুরদা বাবার মতো তিনিও পদ্ম পাতায় বিক্রি করছেন এই খাবার। বর্তমানে বাজারে পদ্ম পাতা খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তিনি চড়া দামে পদ্মপাতা কিনে মুড়িঘুগনি বিক্রি করে আসেন। এতে হয়তো তাঁর লাভ কিছুটা হলেও কম হচ্ছে। কিন্তু পদ্ম পাতার টানে খরিদ্দার বেশি হচ্ছে। তিনি বজায় রেখেছেন তার পারিবারিক ঐতিহ্য।
হরষিত সিংহ
Fast Food: সিঙাড়া খাওয়ার জন্য দিতে হয় লম্বা লাইন? কারণ জানলে হাসি থামবেনা!
Rare Shaped Chips : প্যাকেট খুলতেই চোখ কপালে! ‘বিরল চিপস’ খেয়ে ১৪.৮৫ লক্ষ ঘরে নিয়ে গেলেন কিশোরী…
#অস্ট্রেলিয়া: খাদ্যরসিক মানুষেরা বরাবর নতুনত্ব ও বিভিন্ন স্বাদের খাবারের সন্ধানে থাকেন। তবে তার জন্য পুরস্কৃত হওয়ার খবর তেমন একটা সামনে আসে না। তবে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা রাইলি স্টুয়ার্ট (Rylee Stuart) চিপসের প্যাকেট থেকে একটি বিরল ‘পাফড-আপ’ চিপ খুঁজে পেয়েছেন। ১৩ বছরের কিশোরীর এই আবিষ্কারের কারণে ওই চিপসের প্রস্তুতকারী সংস্থা ডরিটোস (Doritos) তাঁকে ২০,০০০ ডলার (১৪.৮৫ লক্ষ টাকা) পুরস্কার হিসেবে দিয়েছে।
এর আগে জনপ্রিয় স্ন্যাক্স সংস্থা McDonald’s-এর তৈরি চিকেন নাগেট একটি ভিডিও গেমের চরিত্রের মতো দেখতে বলে, তা অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল ১,০০,০০০ ডলারে। বিশেষ আকৃতির চিকেন নাগেটটি eBay-তে মোট ১৮৪টি বিড পেয়েছিল।
ডরিটোসের ‘পাফড-আপ’ চিপ সাধারণত খুব কুরমুড়ে পাতলা পাপড়ের মতো হয়। বাজারজাত রেগুলার প্যাকেটে রাইলির খুঁজে পাওয়া বিরল আকৃতির চিপ পাওয়া যায় না। কিশোরী জানিয়েছে সে যখন ওই চিপটি খুঁজে পায়, তখন তিনি খেয়ে নেওয়ার কথাই ভেবেছিল, কিন্তু পরে ডরিটোসের নাম নিয়ে একটি ভিডিও বানিয়ে TikTok-এ শেয়ার করে। সেই ভিডিওই ডরিটোস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই ভিডিওটি বর্তমানে সংস্থার Twitter ও Facebook পেজে শেয়ার করা হয়েছে। তবে মূল ভিডিওটি সোশ্যাল মাধ্যমে বিশেষ সাড়া ফেলেছে।
This 13-year-old was paid $20,000 by Doritos after finding a perfectly puffy chip ? pic.twitter.com/mFRfWVr5F0
— NowThis (@nowthisnews) August 20, 2021
PepsiCo-র মালিকানাধীন সংস্থা ডরিটোস, ১৩ বছরের কিশোরী রাইলি স্টুয়ার্টকে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়। ডরিটোসের চিফ মার্কেটিং অফিসার বন্দিতা পান্ডে (Vandita Pandey) জানিয়েছেন ডরিটোসের প্রতি রাইলির ভালোবাসার কথা বিচার করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যাই হোক, দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যরসিক মানুষেরা এমন অনেক খাবারই বিরল আকৃতির পেয়ে থাকেন। তবে অনেকেই শৈল্পিক দৃষ্টি দিয়ে বিচার না করে রসনার তৃপ্তি নিবারণকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এবার তাঁদের এই খবর একটু হলেও প্রভাবিত করতে পারে। হয় তো আরও বড় কোনও পুরস্কারের খবরও সামনের সারিতে উঠে আসতে পারে আগামী দিনে!