প্রতীকী ছবি৷

Crime news: স্ত্রীর গর্ভে পুত্র না কন্যাসন্তান? পেট কেটে দেখতে গেল পাঁচ মেয়ের বাবা

বদাঁয়ু: আগেই পাঁচ সন্তান রয়েছে৷ কিন্তু তারা সবাই মেয়ে৷ তাই স্বামীর দাবি ছিল পুত্রসন্তানের৷ এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর নিত্য বিবাদ লেগেই থাকত৷ শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর গর্ভে আসা সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা দেখতে কাস্তে দিয়ে স্ত্রীর পেট ফালাফালা করে দিল স্বামী!

শিউরে ওঠার মতো এই ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালে উত্তর প্রদেশের বদাঁয়ুতে৷ সেই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার শেষে আজ অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সাংসদকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে ডেকেছিল কে? পুলিশের নজরে রহস্যময়ী সিলেস্টা

এনডিটিভি-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম পান্না লাল৷ তাঁর স্ত্রীর নাম অনিতা৷ জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি ২২ বছর ধরে বিবাহিত৷ কিন্তু বার বার অন্তঃসত্ত্বা হলেও অনিতা কন্যাসন্তানেরই জন্ম দেন৷ পাঁচটি কন্যাসন্তান হওয়ার পরেও পুত্রসন্তানের জন্য মরিয়া ছিল পান্না লাল৷ এই নিয়ে ওই দম্পতির মধ্য অশান্তি লেগেই থাকত৷ অনিতার বাড়ির পক্ষ থেকে পান্না লালকে বোঝানোর চেষ্টা হলেও শুনতে চায়নি সে৷ উল্টে পুত্রসন্তান পেতে অনিতাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্য কোনও মহিলাকে বিয়ে করার হুমকিও দেয় সে৷

শেষ পর্যন্ত ফের অন্তঃসত্ত্বা হন অনিতা৷ এবার স্ত্রীর গর্ভস্থ সন্তানের লিঙ্গ জানতে মরিয়া হয়ে ওঠে পান্না লাল৷ ঘটনার দিন ওই দম্পতির মধ্যে ফের এ নিয়ে বিবাদ শুরু হয়৷ তখনই কাস্তে দিয়ে স্ত্রীর পেট কাটার হুমকি দেয় পান্না লাল৷ অনিতা প্রতিরোধ করতেই আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে সে৷ অনিতা পালাতে গেলে তাঁকে ধরে সত্যিই নিজের স্ত্রীর পেট চিড়ে ফেলে পান্না লাল৷

কোনওক্রমে ছুটে রাস্তায় চলে আসে অনিতা৷ তাঁর চিৎকার শুনে অনিতার দাদা এসে বোনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ বিপদ বুঝে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় পান্না লাল৷ পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে৷
হাসপাতালে নিয়ে গেলে অনিতা প্রাণে বাঁচলেও তাঁর গর্ভস্থ আট মাসের পুত্রসন্তানকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা৷ পরে আদালতে অনিতা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী এমন ভাবে পেট চিড়ে ফেলে যে তাঁর পাকস্থলী বেরিয়ে এসেছিল৷ পান্না লাল অবশ্য দাবি করে, অনিতা নিজেই নিজেকে আহত করে তার নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন৷