ভারতকে কাবু করার জন্য তৈরি অস্ট্রেলিয়ার গতি দানব, পাত্তা দিচ্ছেন না কোহলি

ইন্দওর: এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ধরা হয় তাকে। গতি এবং বাউন্স কাজে লাগিয়ে ব্যাটসম্যানদের ভয় পাইয়ে দিতে পারেন মিচেল স্টার্ক। আঙুলের চোটের জন্য সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে খেলেননি মিচেল স্টার্ক। এখনও একশো শতাংশ ফিট নন তিনি। তা সত্ত্বেও বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্টে তাঁর খেলা নিশ্চিত।

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দেশে ফিরে গিয়েছেন মায়ের অসুস্থতার কারণে। ইন্দোর টেস্টে তিনি নেই। তাঁর জায়গাতেই প্রথম এগারোয় আসতে চলেছেন স্টার্ক। সোমবার বর্ষীয়ান পেসারকে দেখা গেল নেটে প্রায় ঘণ্টাখানেক ক্যামেরন গ্রিনকে বল করতে। স্টার্ক পরে মিডিয়াকে বলেন, এখনও একটু অস্বস্তি আছে। ১০০ শতাংশ সুস্থ হতে পারব বলে মনে হয় না।

তবে হাত থেকে বলটা ঠিকঠাকই বেরিয়ে আসছে। পূর্ণ গতিতে বল করছি। এমন নয় যে ইন্দোরেই প্রথমবার অস্বস্তি নিয়ে খেলব। যদি পূর্ণ সুস্থতা নিয়ে খেলতে হত তাহলে এতদিনে বড়জোর ৫-১০টা টেস্ট খেলতে পারতাম। ৩৩ বছর বয়সি তারকা এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ৭৫ টেস্ট। নিয়েছেন ৩০৪টি উইকেট।

উপমহাদেশে অতীতে খেলার অভিজ্ঞতা ইন্দোরে কাজে আসবে বলে মনে করছেন তিনি। বাঁ হাতি পেসারের কথায়, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় কিছুদিন আগেই খেলেছি। ভারতে কন্ডিশন যদিও সামান্য আলাদা, তবে নিজের স্কিলকে যথাযথভাবে মেলে ধরাই আসল ব্যাপার। চলতি সিরিজে ভারতীয় পেসাররা সাফল্য পেলেও অজি পেসাররা দাগ কাটতে ব্যর্থ।

এই প্রসঙ্গে স্টার্ক বলেন, ভারতীয় পেসাররা নতুন বলে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে। সেটাই আমরা পারিনি। ভুল শুধরাতে হবে। তাছাড়া এখানেও স্পিনারদের ভূমিকা বেশি থাকবে। সেটা মাথায় রেখেও বলছি, নিজের সেরাটা মেলে ধরতে আমি প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে মিচেল স্টার্ক আগুনে গতিতে বল করেছেন।

তার বাউন্সার ভয় পাইয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু কাবু করতে পারেনি। আর ভারতের মাটিতে ততটা বল বাউন্স করবে না সেটাও বিলক্ষণ জানেন তিনি। তবুও নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্টার্ক চেষ্টা করবেন ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপকে বিপদে ফেলতে।