গরমকালে অনেক সময়ই বাড়িতে প্রায় সারা দিনই ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়৷ এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, একটানা কতক্ষণ ফ্যান চালানো উচিত?
কারণ ঘণ্টার পর ঘণ্টা একভাবে চলতে থাকলে ফ্যান ওভারহিট হয়ে ফ্যানের কয়েল পুড়ে যেতে পারে অথবা অন্য কোনও সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷
ফ্যান কেন গরম হয়? ফ্যান চালালে সেটিতে লাগানো মোটর আসলে বিদ্যুৎকে গতিতে পরিবর্তন করে৷ এর ফলেই ফ্যান গরম হতে থাকে৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলিং ফ্যান একটানা চালালে প্রতি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তত এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা উচিত৷
পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে একটানা চলতে চলতে ফ্যান খারাপ হয়ে যেতে পারে৷ এমন কী, ফ্যানের ভিতরের ওয়্যারিংও নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷
এর পাশাপাশি, ফ্যান চালানোর সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ফ্যানের ব্লেডগুলি প্রতি মাসে অন্তত একবার করে পরিষ্কার করুন৷
নিম পাতা তেতো বলে অনেকেই খেতে চান না। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকেই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ রাজেশ পাঠক। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য, যা উপস্থিত সব ধরনের ক্ষতিকর রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত করে তোলে।
নিম পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।। সেই জন্য নিম পাতা পিষে রস তৈরি করে আধ গ্লাস সকালে খেলে রক্ত পরিষ্কার হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে।
নিম পাতা ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। নিম পাতায় ‘নিম্বিন’ নামক একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ম্যালেরিয়ার কার্যকরী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এমন অবস্থায় নিম পাতা ভাল করে ধুয়ে সেদ্ধ করে জল ছেঁকে পান করলে ইতিবাচক প্রভাব দেখবেন।
নিম পাতা চুলকানি, ব্রণ এবং চর্মরোগের সমস্যায় নিম পাতা। এগুলির মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি ক্ষত এবং চুলকানির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়।
নিম পাতায় উপস্থিত বিশেষ উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। এটি সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ছ’থেকে সাতটি পাতা চিবিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে আরও ভাল ফল পাবেন।
নিম পাতা দাঁতের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। কারণ নিম দিয়ে দাঁত মাজলে মুখের ভিতরের জীবাণুর সংক্রমণও কমে যায়, তাই নিম পাতা ভাল করে শুকিয়ে নিয়ে দাঁতে ঘষে লাগালে তা শুধু দাঁত পরিষ্কার করে না। মাড়ির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
একটা বয়সের পর আমাদের সকলের মুখে বয়সের ছাপ পড়ে! বলিরেখা বাড়ে! সেই সঙ্গে কমতে থাকে অনেক রকম শারীরিক ইচ্ছে বা চাহিদাও! কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই এমন এক উপাদান আছে যা আমাদের দীর্ঘদিন পর্যন্ত জোয়ান রাখতে পারে! photo source collected
বয়স বাড়লেও আপনার শরীরী চাহিদায় ভাটা পড়বে না! জানতে হবে কী সেই উপাদান! এবং কীভাবে খাবেন! photo source collected
সেই উপদানের নাম লবঙ্গ! এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রক্তের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে! ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কিন্তু ভাল এই লবঙ্গ! তবে শরীরী চাহিদা বাড়াতে হলে শুধু লবঙ্গ খেলে হবে না! দরকার আরও একটি জিনিস! photo source collected
তার আগে জেনে নিন লবঙ্গে ভিটামিন সি ও জিঙ্ক থাকে! যা আমাদের রোগ প্রতোরোধক ক্ষমতা বাড়ায়! রোজ তিন থেকে চারটি লবঙ্গ পুরুষদের শরীরের জন্য খুব ভাল! খেলেই উপকার বুঝবেন! photo source collected
রোজ রাতে খাওয়ার পর এক গ্লাস দুধে তিন থেকে চারটি লবঙ্গ হালকা গুঁড়ো করে বা পিষে নিয়ে মিশিয়ে দিন! এই দুধ খেলেই থাকবেন জোয়ান! বয়স ধরে রাখতে পারবেন! সেই সঙ্গে ভাটা পড়বে না শরীরী চাহিদাতেও! photo source collected
বর্তমান সময়ের তীব্র ও প্যাচপ্যাচে গরমে শরীরের পাশাপশি ত্বকেও ক্ষতি হচ্ছে দারুণ। এমনকী অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে সারাক্ষণই স্ক্যাল্প ঘামতে থাকছে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে চুলের।
অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না যে কিভাবে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আবার অনেকেই ব্যবহার করে চলেছেন দামী সমস্ত জিনিসপত্র। তবে এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক দেব কুমার সামন্ত জানান, স্ক্যাল্পে ঘাম, তেল এবং ধুলো-ময়লা জমে চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। ফলে গরমে স্ক্যাল্প ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
গরমে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে মাথার তালুতে প্রচুর পরিমাণে ঘাম জমে। সেখানেই ধুলো, বালি বসে আটকে যায়। ফলে স্ক্যাল্পের পিএইচ মাত্রার হেরফের হয় এবং চুলের ক্ষতি হয় অনেকটা।
এই গরমের মরশুমে চুলের সমস্যা কমাতে স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত শ্যাম্পু করা ভাল। তবে যদি সমস্যা থাকে তবে সপ্তাহে এক দিন অন্তর শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত।
স্ক্যাল্প ক্লিনজিংয়ের জন্যে আপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার করা বেশ কার্যকরী। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে কিছুটা জল নিয়ে তাতে ১ থেকে ২ চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া চুলের উজ্জ্বলতা ও সিল্কি ভাব বজায় রাখতে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার এবং হেয়ার সিরাম লাগানো উচিত। এতে চুলের পুষ্টির যোগানে ভাটা পড়ে না চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
করলার স্বাস্থ্য উপকারিতা: স্বাদে তেতো, কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী এই সবুজ সবজি। ওষুধের মতো এই সবজিটি আমাদের শরীরের অনেক সমস্যা সহজেই দূর করে দেয়।
আমাদের শরীরের রক্তের গুণমান উন্নত করতে এবং সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রণে, কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী করলা। আসুন জেনে নেই এর যাবতীয় উপকারিতা।
করলার নাম শুনলেই ভুরু কুঁচকে যায় অনেকের। করলা পছন্দ করেন এমন মানুষ খুব কমই আছেন। করলাতে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা মানবদেহের নানা ধরনের সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে সাহায্য করে।
হেলথলাইন অনুসারে, করলা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার, ফোলেট, পটাসিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রন সমৃদ্ধ, যা শরীরের যে কোনও ধরণের ক্ষতি নিরাময়ে, ডিটক্সিফাই করতে এবং বড় রোগের ঝুঁকি দূরে রাখতে সহায়তা করে।
একটি গবেষণায় এটাও দেখা গিয়েছে যে কেউ যদি তিন মাস করলা খান তার ডায়াবেটিসের সমস্যা দ্রুত ভাল হয় এবং এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হিমোগ্লোবিনের উন্নতিতেও সাহায্য করে। এইভাবে এটি দীর্ঘমেয়াদী রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে।
করলার মধ্যে ক্যানসার প্রতিরোধক গুণও পাওয়া গিয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে করলা খাওয়া হলে তা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে এবং পাকস্থলী, কোলন, ফুসফুস এবং স্তন ক্যানসারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে।
করলার নিয়মিত সেবন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। আপনি যদি কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় করলা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
করলা এলডিএল বাড়াতে বাধা দেয়, যা হার্ট এবং ধমনীতে রক্ত পাম্প করার সমস্যা দূর করে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
করলাতেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে, অন্ত্র পরিষ্কার করে, হজমশক্তি বাড়ায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা নিবারণেও কাজ করে।
আপনি শুধুমাত্র এর সবজি তৈরি করে খেতে পারবেন না, আপনি এটি অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে রস আকারে পান করতে পারেন। আপনি চাইলে ডিম বা পনিরের সঙ্গে রসুন, টমেটো মিশিয়ে বা পাকোড়া বানিয়ে খেতে পারেন।
আপনি যদি রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য ওষুধ খান, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকে বা গর্ভবতী হন, তবে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই পদ্ধতিতে সেবন করতে হবে করলা।
’স্ত্রীধনে’ স্বামীর কোনও অধিকার নেই, তা একদমই স্ত্রীর নিজস্ব সম্পত্তি। বিয়ের পরে স্ত্রী উপহার হিসাবে যে গয়না উপহার পান, তাকেই ’স্ত্রীধন’ বলা হয়। স্বামী অভাবে বা প্রয়োজনে স্ত্রীর গয়না কাজে লাগাতেই পারেন, তবে তার উপর অধিকার আছে শুধু স্ত্রীর। তাই গয়না দরকারের সময়ে কাজে লাগালেও তা ফেরত দিতেই হবে। এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্টের দীপঙ্কর দত্ত এবং সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও খবর: আগে ভোট, পরে বিয়ে! বরের পোশাকে ভোট দিতে এসে শিরোনামে মহারাষ্ট্রের তরুণ
কেরলের এক দম্পতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টের স্বামীকে নির্দেশ দিয়েছে তার স্ত্রীর গয়নার দাম বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। বিয়ের রাতে স্ত্রী যে গয়নাগাটি উপহার পেয়েছিলেন তা নিরাপদে রাখার যুক্তিতে স্বামীর থেকে নিয়ে নেন স্বামী। পরে স্ত্রী জানতে পারেন সেই গয়না কাজে লাগানো হয়েছে পরিবারের ঋণ পরিশোধের কাজে। তার পরেই বিচারের আশায় আদালতে যান মহিলা।
আরও খবর: ভোট চলাকালীন মৌমাছির হামলা, আহত লাইনে দাঁড়ানো প্রায় ১৫ জন ভোটার
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ’স্ত্রীধনের’ উপর অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র স্ত্রীর। অভাবে সেগুলি ব্য়বহার করলেও, পরে তা ফিরিয়ে দেওয়া স্বামীর নৈতিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, মহিলার স্বামী যে পরিমাণ গয়না তার থেকে নিয়েছিলেন ২০০৯ সালে তার দাম ছিল ৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। বর্তমানে সোনার বাজারদর অনুযায়ী ২৫ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে স্বামীকে।
বাইরে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে চড় চড় করে৷ ঘন ঘন তেষ্টায় জেরবার হচ্ছে সাধারণ মানুষ৷ এই গরমে নিয়মিত জলপান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্৷ কারণ, এই মরসুমে নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে হাইড্রেটেড রাখাও খুব জরুরি৷
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, প্রতিটা মানুষের দিনের বেলায় বেশির ভাগ পরিমাণ জল খাওয়া উচিত৷ কিন্তু, সেটা কী ভাবে খাবেন? সে বিষয়ে কিন্তু, আমরা কোনও দিনই বিশেষ একটা ভাবনাচিন্তা করি না৷
আমরা অনেক সময়ই বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই ঢক ঢক করে জল খেয়ে ফেলি৷ এটা কতটা উচিত? শরীরের কতটা ক্ষতি করে এটা? জানেন? লোকাল ১৮কে জল খাওয়ার পদ্ধতির খারাপ-ভাল জানালেন, সফদরজংয়ের এমবিবিএস ডাক্তার টিনা কৌশিক৷
টিনা কৌশিক Local18 টিমকে বলেন, ‘‘আমরা যখন দাঁড়িয়ে জল পান করি, তখন তা আমাদের শরীরের স্নায়ুতে প্রভাব ফলে৷ ফলে শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তখন সেই কারণে শরীরে তৈরি হয় টক্সিন৷ বেড়ে যায় বদহজমও। এমনকি, দাঁড়িয়ে জল পান করলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা হতে পারে।’’
ডাঃ টিনা কৌশিক Local18 কে আরও বলেন যে, আমাদের সবসময় আরাম করে বসে জল পান করা উচিত। আমাদের কখনওই একবারে অনেকটা জল খাওয়া উচিত নয়৷ জল খাওয়া উচিত ছোট ছোট চুমুক দিয়ে। ধীরে ধীরে জল পান করলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং শরীর প্রয়োজনীয় সব মিনারেল পায়।
তিনি বলেন, ‘‘খাবার খাওয়ার মাঝখানে কখনওই জল পান করা উচিত নয়, বরং খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং ৩০ মিনিট পরে জল পান করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দাঁড়িয়ে জল পান করলে আমাদের হাড়ের জয়েন্টে তরল পদার্থের অভাব তৈরি হয় এবং হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে আর্থ্রাইটিস বা হাঁটুর ক্ষতিও হতে পারে। এ ছাড়া হতে পারে কিডনি রোগ, পরিপাকতন্ত্রের উপরে পড়তে পারে প্রভাব, ফুসফুসের উপরেও প্রভাব পড়তে পারে৷ হার্ট সংক্রান্ত সমস্যাও হতে পারে।’’
চিকিৎসকের পরামর্শ, কখনওই বাইরে থেকে এসে ঢকঢক করে জলপান করবেন না৷ এটি স্বাস্থ্যের উপরে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব ফেলে।
অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য হল পুঁই শাক। বাজারে সারা বছরে কম বেশি পুঁইশাক পাওয়া যায়। বাজার থেকে না কিনে বাড়ির টবে লাগিয়ে ফেলতে পারবেন এই পুঁইশাক। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ছাদে বা ব্যালকানিতে টবের মধ্যে এই পুঁইশাক একবার লাগালেই সারা বছর ফলন পাবেন।
কীভাবে এই পুঁইশাক চাষ করবেন সে ব্যাপারে কৃষি বিশেষজ্ঞ রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি জানান, প্রথমেই টবে পুঁইশাক চাষের জন্য দোআঁশ মাটি,বালি, শুকনো গোবর বা পচা পাতা সার দিতে হবে। বড় আকারের টব কিংবা সিমেন্টের বস্তায় মাটি ভরিয়ে পুঁইশাক চাষ করতে হবে।
পুঁইশাকের জন্য কোনও রকম রাসায়নিক সার কিংবা কৃত্রিম সার নয় তরল সার একমাত্র পুঁইশাকের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। এর জন্য সরিষের খোল বা গোবর একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে বেশ খানিকটা পরিমাণ জল দিয়ে টবের মাটি তৈরি করতে হবে।
গাছের পাতা অনেক সময় কুঁকড়ে যায়। পুঁই গাছে অনেক সময় পোকা হয় তার ফলে পাতা ফুটো ফুটো হয়ে যায়। এর জন্য বাড়িতেই তৈরি করে ফেলতে পারেন প্রাকৃতিক কীটনাশক।
নিমপাতা ফুটিয়ে তার জল দিতে পারেন তাছাড়া আগের দিন রাতে রসুন থেঁতো করে তার মধ্যে এক চামচ গুঁড়ো লঙ্কা দিয়ে সেই জল গাছের মধ্যে স্প্রে করুন। এতে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
অনেক সময় পুঁইশাকের গাছের গোড়ায় ছত্রাকের আক্রমণ দেখা যায়। তার জন্য গোড়ায় ছাই দিন। এটি করলে পুঁইশাক এর রোগ বালাই থেকে অনেকটা দূরে থাকবে। এই পুঁই গাছের বীজ লাগানোর ৪৫ দিন পরেই এই পুঁই এর বীজ থেকে ডাল বের হতে শুরু করে। এইভাবে বাড়ির টবে খুব সহজেই আপনি পুঁইশাক চাষ করতে পারেন।
Posts navigation
Just another WordPress site