Elite Matrimony Store: বিমানবন্দর থেকেই খুঁজে নিতে পারেন আপনার ‘জীবনসঙ্গী’, কোন এয়ারপোর্টে মিলবে এই দুর্দান্ত সুযোগ?

বিমানবন্দরে আমরা তো হামেশাই বিভিন্ন ধরনের স্টোর দেখতে পাই। কিন্তু তা বলে একটা আস্ত ম্যাট্রিমনি স্টোর! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! এমনটাই দেখা গিয়েছে চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর এই ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটের স্টোর দেখে রীতিমতো ভিড়মি খেয়েছেন এক মহিলা। বিষয়টা বেশ আজবই ঠেকেছে তাঁর কাছে। কারণ তাঁর বক্তব্য, ওই বিমানবন্দরে নেই কোনও ওষুধের দোকান কিংবা কনভেনিয়েন্স স্টোর। অথচ একটা জ্বলজ্যান্ত ম্যাট্রিমনি স্টোর রয়েছে!

বিমানযাত্রীরা অনেক সময় বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্টোর থেকে জরুরি সামগ্রী এবং খাবারদাবার কিনে থাকেন। তবে ওই মহিলা আচমকাই ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটের স্টোর দেখতে পান চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। যার নাম ‘এলিট ম্যাট্রিমনি’। আর ওই ঘটনার কথাই তিনি তুলে ধরেছেন এক্স (পূর্বে ট্যুইটার) প্ল্যাটফর্মে। এলিট ম্যাট্রিমনির একটি ছবিও পোস্ট করেছেন ওই মহিলা। তিনি জানান যে, ওই ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইট মূলত ধনী গ্রাহকদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-অ্যালোভেরার ‘অজানা’ গুণের কথা ৯৯% মানুষই জানেন না, ‘এই’ দিকে লাগালেই হু হু করে আসবে টাকা, কাটবে দুর্দশাও

আরও পড়ুন-রোম্যান্সে চরম আপত্তি, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ নিয়ে বিরক্ত ছিলেন শাহরুখ! ২৫ বছর পর সত্য ফাঁস পরিচালকের

ছবিটি পোস্ট করে এক্স ব্যবহারকারী ওই মহিলা লিখেছেন, “মা বিমানবন্দরে কোনও জরুরিকালীন পরিস্থিতি উপস্থিত হলেও একটি ফার্মেসি অথবা একটি কনভেনিয়েন্স স্টোর পাওয়া যাবে না। অথচ দেখুন আমি কী পেলাম!” এলিট ম্যাট্রিমনিতে প্যাকেজ শুরু হচ্ছে দেড় লক্ষ টাকা থেকে। আর সেই প্যাকেজ উঠতে পারে ৩ লক্ষ টাকায়।


এই পোস্ট দেখে এক এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন যে, “৩৫বি ডলার ইন্ডাস্ট্রি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ ভারত আরও বেশি করে স্টেটাস গেম খেলছে।” আর এক জনের বক্তব্য, “এটা মূলত তাঁদের জন্য, যাঁরা ভাবেন যে, ২ ঘণ্টার লে-ওভার রয়েছে, এর মাঝেই একজন জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়া যাক।” অন্য জনের আবার মন্তব্য, “বিমানবন্দরের নিরাপদ এলাকায় এত লাগেজের স্টোরের কী প্রয়োজন, সেটাই বুঝতে পারিনি কোনওদিন! কারণ বিমানবন্দরে তো আমরা ব্যাগ থেকে মুক্তি পাই। আর এটা তো তার থেকেও খারাপ!”

চতুর্থ এক নেটিজেন লিখেছেন, “আমাদের দেশে বিয়েটাকে প্রচুর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আসলে আমাদের দেশ এবং সমাজ যেন বিবাহকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়।” পঞ্চম জনের আবার বক্তব্য, “বিমানবন্দরে শপিংয়ের কথা মাথায় এলে আমরা প্রচুর বিলাসবহুল ব্র্যান্ড দেখতে পাই। আর তারা মূলত বিজনেস-ক্লাসের গ্রাহকদের পরিষেবা দিয়ে থাকে। আর একটি কারণ হল, কোনও বিমানবন্দরে একটি ব্র্যান্ডের উপস্থিতি তার বিপণনকে প্রসারিত করতে সহায়তা করে। কারণ এক দিনে লক্ষাধিক যাত্রী বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন।”