কলিঙ্গ: ১২০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস লড়াই। অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষার অবসান ইস্টবেঙ্গলের। ট্রফির খিদে মিটল লাল-হলুদের। এক যুগ পর সর্বভারতীয় ট্রফি এল ইস্টবেঙ্গলের ঘরে। ?নেল বাইটিং? ফাইনালে ওড়িশাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে সুপার কাপ সেরা ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ফাইনালে দুরন্ত কামব্যাক করে লাল হলুদ। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধে ২-১ লিড নেয় কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। দুটি গোল ক্রেসপো ও নন্দকুমারের কিন্তু ম্যাচে শেষের কয়েক মুহূর্ত আগে পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা ফেরায় ওড়িশা। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে গোল করে ফের একবার লাল-হলুদের জয়ের ক্লেইটন সিলভা। ম্যাচে শেষের বাঁশি বাজতেই উচ্ছ্বাসেমাতোয়ারা ইস্টবেঙ্গল ফ্যানেরা।
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ফাইনালের শুরুটা ভাল করে ওড়িশা। প্রথম থেকে প্রেসিং ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গলের উপর চাপ বাড়াতে থাকে লোবেরোর দল। সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে ইস্টবেঙ্গলও। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে প্রথম গোলের মুখ খোলে ওড়িশা। ৩৯ মিনিট- ফ্রি-কিক থেকে আহমেদ জহৌয়ের বল দেন রয় কৃষ্ণকে। ডিফেন্ডারদেরকে তাঁর দিকে টেনে নিয়ে এসে মরিসিওকে বল বাড়ান কৃষ্ণ। সেই বল ধরেই ডান পায়ের শোটে গোল করেন মরিসিও। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ওড়িশা।
𝐂𝐎𝐍𝐐𝐔𝐄𝐑𝐎𝐑𝐒 𝐎𝐅 𝐊𝐀𝐋𝐈𝐍𝐆𝐀! ⚔️❤️💛#KalingaSuperCup #JoyEastBengal #EastBengalFC #EBOFC #BattleForBengalsPride pic.twitter.com/8TFAnSUcpR
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) January 28, 2024
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অন্য ইস্টবেঙ্গলকে পাওয়া যায়। গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। ৫২ মিনিটে দুরন্ত গোল করে দলকে সমতায় ফেরান নন্দকুমার। মহেশের পাস থেকে এক দক্ষতায় নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে গোল করেন নন্দ। ম্যাচে লিড নেওয়ার জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। ৬২ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ক্রেসপো। ম্যাচের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত লিড ধরে রাখে ইস্টবেঙ্গল। ইনজুরি সময়ের শেষ মুহূর্তে মরিসিও বল নিয়ে বক্সের মধ্যে দৌড়ে ঢুকছিলেন। প্রভসুখন গিল এগিয়ে এসে তাঁকে ফাউল করেন। ওড়িশা এফসিকে পেনাল্টি দেয় রেফারি। ৯৮ মিনিটে জহৌ গোল করে ফের ওড়িশাকে সমতায় ফেরায়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
আরও পড়ুনঃ Sourav Ganguly: ভবিষ্যতের বিরাট কোহলি কে? বড় ?ভবিষ্যদ্বাণী? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের
অতিরিক্ত সময়ে ফের ঠান্ডা মাথায় নতুন করে লড়াই শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। নতুন কর ছক সাজান কার্লোস কুয়াদ্রাত। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষেও খেলার ফল ছিল ২-২। ১১১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের ১২ বছরের ট্রফির খরা কাটানো গোলটি করেন ক্লেইটন সিলভা। ওড়িশা এফসি গোলকিপার পাস করেছিলেন নরেন্দ্রকে। বল ধরে রাখতে পারেননি নরেন্দ্র। তাঁর থেকে বল কেড়ে নিয়ে অনবদ্য গোল করলেন ক্লেইটন। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতে সুপার কাপ জিতল ইস্টবেঙ্গল।