Indian Railway: ট্রেন থেকে উদ্ধার ৪১ জন নাবালক ছেলেমেয়ে, সাহায্য করা হল একটি মেয়েকেও! দায়িত্ব পালনে তৎপর উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে

নয়াদিল্লি: ২২ থেকে ২৫ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্তর্গত বিভিন্ন ট্রেন ও রেলওয়ে স্টেশনে নিয়মিত তল্লাশি অভিযানের সময় একজন ছেলে সহ ৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ককে সফলভাবে উদ্ধার করে এবং একজন মেয়েকে চিকিৎসা সাহায্য প্রদান করেছে।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সময়সীমায় ৪১ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ে এবং ০৮ জন মহিলাকে উদ্ধার করে। পরে উদ্ধারকৃত শিশু/মহিলাদের সংশ্লিষ্ট চাইল্ড লাইন/এনজিও, অভিভাবক ও জিআরপি-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২৪ মার্চ, ২০২৪ তারিখের একটি ঘটনায় নিউ জলপাইগুড়ির আরপিএফ ও জিআরপি টিম যৌথভাবে নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুজন পলাতক অপ্রাপ্তবয়স্ককে উদ্ধার করে। পরে তাদের নিরাপদ হেফাজতের জন্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি, নিউ জলপাইগুড়ির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: টাকার অভাব হবে না কোনও দিন, দূর হবে অশান্তি! বাড়ির পুজোর জায়গায় ‘এই’ নিয়মে রাখুন শঙ্খ

একই দিনে, ডিমাপুরের আরপিএফ ডিমাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন নং. ১৫৬০৩ (গুয়াহাটি-লিডু ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস)-এ যাত্রা করা একটি মেয়েকে চিকিৎসা সাহায্য প্রদান করে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিভিল হসপিটাল, ডিমাপুর (নাগাল্যান্ড)-এ স্থানান্তর করে।

২২ মার্চ, ২০২৪ তারিখের একটি ঘটনায় গুয়াহাটির আরপিএফ টিম গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক জন ছেলে সহ একটি পলাতক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে উদ্ধার করে। একই দিনে, নিউ তিনসুকিয়ার আরপিএফ টিম বরডুবি রেলওয়ে স্টেশন থেকে একজন পলাতক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে উদ্ধার করে। পরে তাদের নিরাপদ হেফাজতের জন্য জিআরপি/গুয়াহাটি এবং শেল্টার হোম/তিনসুকিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ভারতের সবচেয়ে বিষাক্ত ৪ সাপ! সময় দেয় না, এক ছোবলেই শেষ করে দেয় জীবন…মারা যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ

ট্রেন ও রেলওয়ে চত্বরে যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন হওয়া শিশুদের পাওয়া গেলে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিরোধীমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। আরপিএফ যাত্রীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়া, মানব পাচারের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপর কড়া নজরদারি রাখার পাশাপাশি উপযুক্ত অভিভাবক ছাড়া শিশুর সন্দেহজনক চলাচল, একা ভ্রমণ করা ইত্যাদি বিষয়ে উপরেও সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে।