first kiss of bollywood

Bollywood:ভারতীয় সিনেমায় সবথেকে লম্বা চুমুতে রেকর্ড এই নায়িকার, পালিয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে, শেষে যা হল, কল্পনাও করতে পারবেন না

ইদানীং বলিউডে পর্দায় চুমুর দৃশ্য ডাল-ভাতের মতই সাধারণ। কিন্তু কয়েক বছর আগেই গল্পটা মোটেই এত সহজ ছিল না। পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য মানেই সমালোচকদের কড়া চাহনি। কিন্তু বলিউডের শুরু দিকে, মানে ৩-৪০ দশকে আবার অনস্ক্রিন চুমু নিয়ে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। এমনকি, ভারতীয় সিনেমায় প্রথম চুমু-ই কিন্তু ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবথেকে লম্বা চুমু। বলুন তো সেই নায়িকা কে ছিলেন?
ইদানীং বলিউডে পর্দায় চুমুর দৃশ্য ডাল-ভাতের মতই সাধারণ। কিন্তু কয়েক বছর আগেই গল্পটা মোটেই এত সহজ ছিল না। পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য মানেই সমালোচকদের কড়া চাহনি। কিন্তু বলিউডের শুরু দিকে, মানে ৩-৪০ দশকে আবার অনস্ক্রিন চুমু নিয়ে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। এমনকি, ভারতীয় সিনেমায় প্রথম চুমু-ই কিন্তু ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবথেকে লম্বা চুমু। বলুন তো সেই নায়িকা কে ছিলেন?
১৯৩৩ সালে পরিচালক ও অভিনেতা হিমাংশু রায় বানালেন 'কর্মা' নামে একটি ছবি। তিনি তখন সদ্য লন্ডন থেকে ফিরেছেন। ছবিতে নায়ক তিনিই, আর নায়িকার চরিত্রে তাঁর-ই স্ত্রী, দেবিকা রানি। এটিই ছিল হিমাংশু আর দেবিকার প্রথম পর্দায় পা রাখা।
১৯৩৩ সালে পরিচালক ও অভিনেতা হিমাংশু রায় বানালেন ‘কর্মা’ নামে একটি ছবি। তিনি তখন সদ্য লন্ডন থেকে ফিরেছেন। ছবিতে নায়ক তিনিই, আর নায়িকার চরিত্রে তাঁর-ই স্ত্রী, দেবিকা রানি। এটিই ছিল হিমাংশু আর দেবিকার প্রথম পর্দায় পা রাখা।
'কর্মা'-এ হিমাংশু আর দেবিকা রানির মধ্যে একটি 'সুপারহট' চুম্বনের দৃশ্য ছিল। এখন-ও পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটিই সবথেকে লম্বা চুমু এবং ভারতিয় সিনেমার ইতিহাসের প্রথম চুম্বন দৃশ্য। সেই চুমুর কাছে ফেল 'রাজা হিন্দুস্তানী'র আমির-করিশ্মার অন্তরঙ্গ চুম্বনদৃশ্য-ও।
‘কর্মা’-এ হিমাংশু আর দেবিকা রানির মধ্যে একটি ‘সুপারহট’ চুম্বনের দৃশ্য ছিল। এখন-ও পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এটিই সবথেকে লম্বা চুমু এবং ভারতিয় সিনেমার ইতিহাসের প্রথম চুম্বন দৃশ্য। সেই চুমুর কাছে ফেল ‘রাজা হিন্দুস্তানী’র আমির-করিশ্মার অন্তরঙ্গ চুম্বনদৃশ্য-ও।
১৯৩০-এর মাঝামাঝি ভারতীয় সিনেমায় বেশ শক্তপোক্ত জমি করে নিয়েছিলেন দেবিকা রানি। কিন্তু ১৯৩৬ সালে তিনি প্রেমে পড়লেন সহকর্মী নাজম-উল-হাসন-এর। তখন তাঁরা একসঙ্গে 'জীবন নাইয়া' বলে একটি ছবির শ্যুটিং করছিলেন। ছবিটার প্রযোজক ছিল দেবিকার স্বামী হিমংশু-ই।
১৯৩০-এর মাঝামাঝি ভারতীয় সিনেমায় বেশ শক্তপোক্ত জমি করে নিয়েছিলেন দেবিকা রানি। কিন্তু ১৯৩৬ সালে তিনি প্রেমে পড়লেন সহকর্মী নাজম-উল-হাসন-এর। তখন তাঁরা একসঙ্গে ‘জীবন নাইয়া’ বলে একটি ছবির শ্যুটিং করছিলেন। ছবিটার প্রযোজক ছিল দেবিকার স্বামী হিমংশু-ই।
এখানেই শেষ নয়। প্রেমে পাগল দেবিকা আর নাজম-উল-হাসন একদিন শহর ছেড়ে পালালেন। মাঝপথে তো ছবি বন্ধ। মাথায় হাত হিমাংশু রায়ের। তিনি তখন ছবির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শশধর মুখোপাধ্যায়কে দেবিকা রানির কাছে পাঠালেন। হিমাংশুর অনুরোধ ছিল, দেবিকা যাতে ফিরে এসে ছবিটা শেষ করেন।
এখানেই শেষ নয়। প্রেমে পাগল দেবিকা আর নাজম-উল-হাসন একদিন শহর ছেড়ে পালালেন। মাঝপথে তো ছবি বন্ধ। মাথায় হাত হিমাংশু রায়ের। তিনি তখন ছবির সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শশধর মুখোপাধ্যায়কে দেবিকা রানির কাছে পাঠালেন। হিমাংশুর অনুরোধ ছিল, দেবিকা যাতে ফিরে এসে ছবিটা শেষ করেন।
স্বামীর কাছে শর্ত রাখলেন দেবিকা রানি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি ফিরবেন, কিন্তু হিমাংশুকে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হবে। বাধ্য হয়েই রাজি হলেন হিমাংশু। কিন্তু ছবিতে নায়কের জায়গা থেকে সরিয়ে দিলেন  নাজম-উল-হাসন-কে।

স্বামীর কাছে শর্ত রাখলেন দেবিকা রানি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি ফিরবেন, কিন্তু হিমাংশুকে তাঁকে মোটা টাকা দিতে হবে। বাধ্য হয়েই রাজি হলেন হিমাংশু। কিন্তু ছবিতে নায়কের জায়গা থেকে সরিয়ে দিলেন নাজম-উল-হাসন-কে।
এরপর কী হল? ছবিতে  নাজম-উল-হাসন-এর জায়গায় এলেন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শশধর মুখোপাধ্যায়ের ভাই কুমুদলাল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তখন স্টুডিওতে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতেন। ভাগ্য একেই বলেই। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে হিরো হলেন কুমুদলাল। ছবিটা সুপারডুপার হিট করল। পরবর্তীতে কুমুদলাল সুপারস্টার হন। তিনি-ই কিংবদন্তী অভিনেতা অশোক কুমার।
এরপর কী হল? ছবিতে নাজম-উল-হাসন-এর জায়গায় এলেন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার শশধর মুখোপাধ্যায়ের ভাই কুমুদলাল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি তখন স্টুডিওতে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতেন। ভাগ্য একেই বলেই। ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে হিরো হলেন কুমুদলাল। ছবিটা সুপারডুপার হিট করল। পরবর্তীতে কুমুদলাল সুপারস্টার হন। তিনি-ই কিংবদন্তী অভিনেতা অশোক কুমার।