মস্ত একটি দলের ‘নগণ্য’ এক নৃত্যশিল্পী। এই ভাবেই পথচলা শুরু। তারপর আজ সুপারস্টার! নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা, পরিচালক, একাধারে তিনি অনেক কিছু। সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন তিনি।যতটাই মসৃণ ছিল তাঁর পেশাজীবন, ততটাই ঘেঁটে গিয়েছিল ব্যক্তিজীবন। বিবাহ, পরকীয়া, বিচ্ছেদ, দ্বিতীয় বিবাহ… আজও তাঁর জীবন গসিপের আকারেই চর্চিত হয় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির পাড়ায় পাড়ায়।স্বভাবে লাজুক জাতীয় এই তারকা কিন্তু তাঁর প্রেম জীবনের কারণে বারবার শিরোনাম দখল করেছেন এক সময়ে। তিনি প্রভু দেবা। ১৯৯৫ সালে একজন মুসলিম মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ সিনেমার লেডি সুপারস্টার নয়নতারার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন প্রভু।তাঁর এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ১৬ বছরের বিয়ে ভেঙে যায়। ২০১১ সালে তিন সন্তান এবং বউয়ের থেকে আলাদা হয়ে যান তারকা। লতাকে ছেড়ে নয়নতারার সঙ্গে প্রেম করলেও সে সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।তার ঠিক এক বছরের পরে প্রভুকে ছেড়ে চলে যান নয়নতারা। সেই বিচ্ছেদের প্রায় ৯ বছর পর খবর আসে যে তিনি তাঁর ভাইঝি শোভার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন এবং দ্বিতীয় বার বিয়ে করতে চলেছেন।কিন্তু হঠাৎ খবর আসে তিনি চুপিসারে বিয়ে সেরে ফেলেছেন অন্য এক মহিলার সঙ্গে। ২০২০ সালে হিমানি সিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিয়ে হয়ে যায় প্রভুর। শোভার সঙ্গে বিয়ে হল না কেন, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। হিমানি পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট।কিন্তু বিয়ের সময়ে জানা যায় যে পাত্রী তাঁর ভাগ্নী নন, অন্য কোনও মহিলা। ৫০ বছর বয়সে তিনি আবার বাবা হন। দ্বিতীয় বিয়েতে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তাঁরা।প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে প্রভুর তিন ছেলে। কিন্তু ২০০৮ সালে বড় ছেলের মৃত্যু হয় ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে। তখন ছেলের বয়স মাত্র ১৩ বছর। তারপর থেকে স্ত্রী লতার সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায় প্রভুর।
