লছমন দাস মিত্তল৷

Lachhman Das Mittal: ছিলেন LIC এজেন্ট, এখন ২৩ হাজার কোটির মালিক! ভারতের প্রবীণতম ধনকুবেরকে চিনুন

মুম্বই: পেশাদারি জীবনের শুরুতে এলআইসি এজেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি৷ আজ সেই মানুষটিই ভারতের প্রবীণতম ধনকুবের৷ শুনতে সিনেমার মতো লাগলেও বাস্তবেও এরকমটা যে হয়, তার জলজ্ব্যান্ত প্রমাণ লছমন দাস মিত্তল৷ ৯৩ বছর বয়সি এই মানুষটি এখন ভারতের প্রবীণতম ধনকুবের৷ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা৷ ফোর্বস-এর পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের যে ধনকুবেরদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই ঠাঁই পেয়েছেন লছমন দাস মিত্তল৷

লছমন দাস মিত্তলের আগে দেশের প্রবীণতম ধনকুবেরের জায়গা দখলে রেখেছিলেন মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কেশব মহিন্দ্রা৷ ২০২৩ সালে ৯৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি৷

আরও পড়ুন: ১৯৯৪ সালে ৫ হাজারে কেনা SBI শেয়ার, হঠাৎ খুঁজে পেলেন চিকিৎসক! ঘরে এল কত লক্ষ?

লছমন দাস মিত্তল বিখ্যাত ট্র্যাক্টর নির্মাণকারী সংস্থা সোনালিকা ট্র্যাক্টর্স-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান৷ কিন্তু তাঁর প্রথম জীবনের লড়াইয়ের কথা অনেকেই জানেন না৷ ১৯৩১ সালে পঞ্জাবের হোসিয়ারপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উর্দুতে স্নাতকোত্তর শেষ করেন তিনি৷ এক সময় এলআইসি এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন লছমন দাস মিত্তল৷ মারুতির ডিলারশিপ নেওয়ার জন্যও আবেদন করেন তিনি৷ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়৷

এর পর নিজে ব্যবসা শুরু করেন মিত্তল৷ ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যাক্টর্স লিমি়টেড নামে একটি সংস্থা তৈরি করেন তিনি৷ ১৯৯০ সালে ৬০ বছর বয়সে সোনালিকা ট্র্যাক্টর্স বাজারে নিয়ে আসেন তিনি৷

বর্তমানে বিশ্বের ১২০টি দেশে সোনালিকা ট্র্যাক্টর্স পাওয়া যায়৷ পাঁচটি দেশে নিজস্ব কারখানা রয়েছে এই সংস্থার৷ তবে বয়সের কারণেই এখন সংস্থার দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন না লছমন দাস মিত্তল৷ তাঁর বড়ছেলে অমৃত সাগর সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট, ছোট ছেলে দীপক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর৷ দুই নাতি সুশান্ত এবং রমনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত৷

লছমন দাস মিত্তলের মেয়ে ঊষা সাঙ্গওয়ান এলআইসি-র প্রথম মহিলা ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে বসেন৷ এখন অবশ্য অবসর নিয়েছেন তিনি৷