নয়াদিল্লি: ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীরা যদি সোনা, রুপো কিংবা নগদ টাকা সঙ্গে রাখেন, তাহলে তার সম্পূর্ণ হিসাব রাখা আবশ্যক। এর অন্যতম কারণ হল, আরপিএফ বা অন্য কোনও সংস্থা এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে যাতে তাঁরা সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পারেন। অর্থাৎ সমস্ত তথ্য হাতের সামনে থাকলে প্রমাণ করা যাবে যে, সঙ্গে থাকা মালপত্র বা নগদ শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট যাত্রীর।
ধরা যাক, কোনও যাত্রী সোনা-রুপো এবং নগদ টাকা নিয়ে ভ্রমণ করছেন। অথচ জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি সেই সম্পর্কে সঠিক উত্তর দিতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে কিন্তু পুলিশ কিংবা তদন্তকারীদের সন্দেহ হওয়াটা স্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই আরপিএফ বিভিন্ন ট্রেন থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার অনুরূপ সোনা, রুপো এবং নগদ উদ্ধার করেছে।
সূত্রের খবর, উত্তর মধ্য রেলওয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এবং ট্রেনগুলিতে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর বিশেষ দলের তরফে রীতিমতো চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। আর সেই তল্লাশি অভিযানে সোনা, রুপো এবং নগদ টাকা-সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর প্রদেশের সমস্ত স্টেশন এবং ট্রেনে একটি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। আর এই অভিযানে ১৮ লক্ষ টাকা নগদ, ১১ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা-রুপো এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ থেকেও প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার সোনা ও রুপো এবং প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন– রাতের অন্ধকার নামতেই আচমকা পুলিশি অভিযান; এরপর যা হল… শিউরে উঠছেন এলাকার বাসিন্দারা !
অভিযুক্তদের জিআরপি/সিভিল পুলিশ/আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই তল্লাশি অভিযান চলতে থাকবে। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী/উত্তর মধ্য রেলওয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পটভূমিতে রেলপথে নিষিদ্ধ পণ্য পরিবহণ প্রতিহত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে।