Lok sabha election: ‘১০৩২৩ শিক্ষকের চাকরি নিয়ে অন্যতম দায়ী সিপিএম,’ ত্রিপুরার নির্বাচনে মানিকের নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’

ত্রিপুরা: ১০৩২৩ শিক্ষকের চাকরি নিয়ে অন্যতম দায়ী এই সিপিএম। অন্যায়ভাবে তারা চাকরি দিয়েছে। এক্ষেত্রে দায়ী কংগ্রেসও। যারা চাকরি হারিয়েছে তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। অথচ এখন তারা হাত মিলিয়েছে। কোন মুখে তারা মানুষের সামনে যাবে। এজন্য তাদের অশুভ জোট বলা হচ্ছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেবের সমর্থনে আগরতলার বনমালিপুরে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় বিরোধী শিবিরকে এভাবেই নিশানা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এছাড়া রাজ্যের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আরো বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সিপিএম কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, কমিউনিস্ট জমানায় আগে নির্বাচন মানেই ছিল একটা আতঙ্কের পরিবেশ। সেই জায়গা থেকে ২০২৩ সালের নির্বাচনে কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করা যায় সেটা আমরা করে দেখিয়েছি। কোনও ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা কিংবা হিংসা ছাড়া একেবারে শান্তির পরিবেশে ২০২৩-এর নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজস্থানকেও হার মানাচ্ছে কলকাতা! কাঠফাটা রোদ…হাসফাঁস গরম! দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহ…কালবৈশাখী কি আসবে?

তিনি জানান, কমিউনিস্টদের ৩৫ বছরের শাসন ও কংগ্রেসের ৫ বছরের শাসন মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। আর এই সরকারের শাসনও মানুষ প্রত্যক্ষ করছে। কীভাবে একটা সরকারে সুশাসন চালাতে হয় সেটা এখন মানুষই বুঝবে। বক্সনগর ও ধনপুরের উপনির্বাচনও শান্তিপূর্নভাবে সম্পন্ন করা হয়। অথচ বক্সনগরে আমাদের বলা হয়েছিল যে সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট বেশি। তারা বিজেপিকে ভোট দেবে না।

কিন্তু সেখানেই প্রায় ৩০ হাজারের অধিক ভোটে জয়ী হয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী। অপরদিকে ধনপুরেও ১৮ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন আমাদের প্রার্থী। আর এটা প্রমাণ করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ সবকা বিশ্বাসের প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের সময়ে সুবিশাল মানুষের সমর্থন থেকে স্পষ্ট নির্দেশ করে যে আগামী ৪ জুন কী ফলাফল হতে চলেছে। মানুষের চেহারা থেকেই সেটা স্পষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন: উচ্ছের সঙ্গে দই খেলে কী হয় জানেন? জানলে কোনওদিন ভুলেও করবেন না এই কাজ

সভায় সিপিএম-কংগ্রেস জোট এবং তাদের ইন্ডিয়া জোট নিয়েও প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা একটি অপবিত্র জোট। সিপিএম এবং কংগ্রেস কার্বন কপির মতো। সিপিএম যা করেছে, কংগ্রেসও তাদের শাসনামলে সেটা করেছে। রাজ্যে তাদের সময়কালে ব্যাপক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করেছে। বিজেপি এই ধরনের কাজকে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সকল অংশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। রাজ্যও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত দিশায় মানুষের সার্বিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। অথচ ইউপিএ সরকারের আমলে আমরা অসংখ্য কেলেঙ্কারির সাক্ষী হয়েছি। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে রাজনীতির দৃশ্যপট বদলে গেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোট শীঘ্রই একটা স্মৃতিচিহ্ন হয়ে উঠবে। কারণ তাদের জায়গা খুব শীঘ্রই জাদুঘরে হবে। তারা তাদের পায়ের তলায় জমি হারিয়েছে। মানুষ এখন তাদের পাশে নেই। এখন সবাই বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষে তাদের ভোট দিতে আগ্রহী।