বিনোদন Actress: কাটা মাথা, নায়িকাকে খুন করে দেহ জলের ট্যাঙ্কে….সিনেমা নয়, অভিনেত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল বলিউড Gallery May 5, 2024 Bangla Digital Desk অভিনেত্রীকে অপহরণ। বাবা-মাকে টাকা চেয়ে ফোন। কিছুদিন পর জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার নায়িকার মুণ্ডহীণ দেহ। ঘটনা শুনে ভাববেন না কোনও সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের গল্প। এই ঘটনা একেবারেই বাস্তবে ঘটেছিল। বলিউড অভিনেত্রীকে এমনই নৃশংস ভাবে খুন করে পরিচিত দুই বন্ধু। ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল মধুর ভাণ্ডারকরের ছবি ‘হিরোইন’। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল করিনা কাপুরকে। তবে একটি পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মীনাক্ষী থাপা। সেইবছরই মর্মান্তিক ভাবে খুন করা হয় তরুণ অভিনেত্রীকে। নৃশংস হত্যাকাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল গোটা বলিউড। মীনাক্ষীর জন্ম ৪ অক্টোবর ১৯৮৪ সালে নেপালে। তিনি দেরাদুনে থাকতেন। সেখান থেকেই তিনি অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাই আসেন। মুম্বইয়ে নিজের চেষ্টায় কাজের সুযোগও পেয়েছিলেন মীনাক্ষী। মুম্বাইয়ে আসার পর নাচের ক্লাস নেওয়া শুরু করেন অভিনেত্রী। ২০১১ সালে তিনি একটি ছবিতে কাজের সুযোগ পান। পরে মধুর ভান্ডারকরের ‘হিরোইন’-এ অভিনয়ের সুযোগ পান। এই ছবিতে করিনার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে পেরে খুবই খুশি হয়েছিলেন মীনাক্ষী। ছবির সেট থেকেই হঠাত্ একদিন রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যান অভিনেত্রী। তখন মীনাক্ষীর বয়স ছিল মাত্র ২৪ বছর। পরে মীনাক্ষী তার মাকে ফোন করে জানান যে তিনি তাঁর সহ-অভিনেতা এবং বন্ধু অমিত কুমার জয়সওয়াল এবং প্রীতি সুরিনের সঙ্গে এলাহাবাদ যাচ্ছেন। এর পর থেকেই নায়িকার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করা যায় নি। মীনাক্ষী নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর তার মা একটি অপরিচিত নম্বর থেকে একটি বার্তা পান। এতে বলা হয়েছে, ”মেয়েকে নিরাপদ দেখতে হলে তিন দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে।” পুলিশকে কিছু বললে মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা। কিন্তু নায়িকার মা হুমকিতে ভয় না পেয়ে পুলিশকে সব খুলে বলেন। পরবর্তীকালে পুলিশি তদন্তের ফলে জানা যায়, মীনাক্ষীকে অপহরণ করেছিলেন তাঁর ওই দুই বন্ধুই। টাকার জন্যই অভিনেত্রীকে অপহরণ করেছিল নায়িকার ওই দুই বন্ধু। পরে ঘটনায় অভিযুক্ত অমিত পুলিশের কাছে অপহরণের কথা স্বীকারও করেছিলেন। মিডিয়া রিপোর্ট এবং তদন্তে জানা যায়, টাকা না পেয়েই মীনাক্ষীকে খুন করে অমিত। তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়। দেহ ফেলে দেওয়া হয় জলের ট্যাঙ্কে। পরবর্তীকালে মুম্বই আসার পথে রাস্তাতেই বাস থেকে মীনাক্ষীর কাটা ফেলে দেওয়া হয়েছিল।