পাপড়ি গাছ ঔষধি গুণের গুপ্তধন। এটিUlmaceaeপরিবারেরHoloptelia integrifolia গণের একটি উদ্ভিদ, যা চিরবিল্ব,করঞ্জক বা বৃদ্ধকরঞ্জ নামে পরিচিত। স্থানীয়রা এই গাছকে চিলবিল, পাপড়ি, কাঞ্জুবাকাঞ্জি নামে ডাকেন। নদীর কাছে এই গাছ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।এই গাছের বাকল, পাতা ও বীজ খুবই উপকারী। অনেক ধরণের রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। এমনটাই জানালেন চৌধুরি চরণসিং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অধ্যাপক বিজয় মালিক। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতেও পাপড়ি গাছের ছাল, পাতা এবং বীজ ব্যবহার করা হয় বলে জানান তিনি।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় দীর্ঘকাল ধরে প্রধানত পাপড়ি বা করঞ্জয় গাছের বীজ এবং বীজের তেল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলি বেশির ভাগই আলসার নিরাময়কারী এবং আলসারেটিভ, অ্যান্টিহেলমিন্থিক, উষ্ণভিরিয়া এবং চর্মরোগ সংক্রান্ত প্রতিকারের অব্যর্থ ওষুধ মনে করা হয়।অধ্যাপক বিজয় মালিকের মতে, পাপড়ি গাছের ছাল খুবই উপকারি। যদি কেউ বাতের ব্যথায় ভোগেন বা প্রচণ্ড মাথা ব্যথায় কষ্ট পান,তাহলে পাপড়ি গাছের ছাল ব্যবহারে নিরাময় মিলবে। তিনি জানান, ছাল ভাল ভাবে পিষে পেস্ট তৈরি করে ব্যাথার জায়গায় লাগালে কয়েক মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু হবে। আরাম পাবেন রোগী।রক্তপাত বন্ধ করে পাপড়ি গাছের বীজ: অধ্যাপক বিজয় মালিক জানান, যদি কারও গুরুতর চোট লাগে, প্রচণ্ড রক্তপাত হয়, তাহলে পাপড়ি গাছের বীজ পিষে পেস্ট আকারে লাগালে কিছুক্ষণের মধ্যে রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ক্ষতস্থানে এই বীজের পেস্ট লাগালে, ক্ষত খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়। এছাড়া সংক্রমণ দূর করতেও সহায়ক ভূমিকা নেয় পাপড়ি গাছের বীজ।পাতাও খুব উপকারি: পাপড়ি গাছের পাতা পিষে পেস্ট তৈরি করে লাগালে হারপিস সেরে যায়।শুধু তাই নয়, বিছে কামড়ালে অবিলম্বে সেই জায়গায় এই পেস্ট লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।এর ফলে বিষ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে।শুধু তাই নয়, এর পাতা কুষ্ঠরোগ নির্ণয়েও খুবই উপকারি বলে মনে করা হয়।
