ভারতের প্রথম ‘ডিজিটাল ভিখারি’র করুণ পরিণতি, গলায় ঝুলত QR Code

পাটনা: অনলাইন ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। বলা হয়, তিনিই ভারতের প্রথম ডিজিটাল ভিখারি। সেই রাজু প্রয়াত। বিহারের বেত্তিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি।

রাজু নিজেকে দেশের প্রথম ডিজিটাল ভিক্ষুক মনে করতেন। বিহারের বেত্তিয়া রেলস্টেশনে ভিক্ষা করতেন রাজু। বেত্তিয়ার প্রতিদিনের যাত্রী হোক বা স্টেশনে আসা লোকজন, সবাই রাজুকে চিনতেন। রাজুর গলায় ঝোলানো থাকত ডিজিটাল কিউআর কোড। সেটাই হয়ে উঠেছিল তাঁর পরিচয়।

আরও পড়ুন- শিশুকে পথকুকুরের কামড়! সেই সারমেয়দের খেতে দেওয়ার ‘অপরাধে’ হামলা তরুণ দম্পতিকে

দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও সরকারী তথ্য নেই। ভিক্ষুকরা প্রায়ই রাস্তার মোড়ে, মন্দির, রেলস্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ডের বাইরে ভিক্ষা করেন। কিন্তু বিহারের বেত্তিয়া রেলস্টেশনে ৩২ বছর ধরে ভিক্ষা করা রাজুর গল্প ছিল আলাদা।

সময়ের সঙ্গে রাজুও নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।  গলায় ঝুলত ফোন পে, Google Pay এবং Paytm-এর বার কোড। হাতে ট্যাবলেট। বেত্তিয়া রেলস্টেশনে ভিক্ষা করা রাজুর পরিচয় এটাই।

রাজু বিহারের নেতা লালু প্রসাদ যাদব এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভক্ত ছিলেন। তিনি লালু প্রসাদ যাদবকে পাপা বলে ডাকতেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘মন কি বাত’-এর পর্বগুলি শুনতেন নিয়মিত।

আরও পড়ুন- মদ্যপান করে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেফতার তিন মহিলা

যারা প্রায়ই রাজুকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতেন তাঁরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। অনেকেই রাজুকে পছন্দ করতেন। রাজু নিজেকে লালু যাদবের ছেলে বলতেন। লালু যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, রাজু সেই সময় রেলের ক্যান্টিন থেকে খাবার পেতেন। রাজুকে দেখতে ভিড় জমত স্টেশনে।