কেদারনাথ: খেলনার মতো হাওয়ায় ঘুরছে হেলিকপ্টার৷ ভিতরে তখন পাইলট ছাড়াও রয়েছেন ৬ যাত্রী৷ যেভাবে ওই হেলিকপ্টারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাওয়ায় ঘুরছিল, তা দেখে আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন অনেকে৷ এ দিন সকালে এমনই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কেদারনাথ৷
শেষ পর্যন্ত বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান তীর্থযাত্রীরা। তীর্থযাত্রী-সহ ৭ জনকে নিয়ে কেদারনাথ ধামে যাওয়ার পথে ওই হেলিকপ্টারে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। এরপরই হেলিপ্যাড থেকে কিছুটা দূরে জরুরি অবতরণ করেন পাইলট। কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ৭ জনই সুরক্ষিত আছেন বলে জানা গিয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি মন্দিরের হেলিপ্যাড থেকে কয়েক মিটার দূরে অবতরণ করে। ৬ তীর্থযাত্রী ও একজন পাইলটকে নিয়ে মোট ৭ জন ছিলেন। সবাই নিরাপদে আছেন। প্রসঙ্গত, গত ১১ বছরে মোট ১০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে কেদারনাথে।
A Leonardo A119 Koala helicopter owned by Kestrel Aviation, Callsign VT-CLR, lost control at about 0700h today morning as it approached the Kedarnath Helipad for landing in Uttarakhand.
It was a miraculous escape for the crew and the six passengers onboard the helicopter.
The… pic.twitter.com/9oMEUhDtZY— Ashok Bijalwan अशोक बिजल्वाण 🇮🇳 (@AshTheWiz) May 24, 2024
রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক সৌরভ গহরওয়ার জানিয়েছেন, শুক্রবার ভোরে হেলিকপ্টারটি সিরসি হেলিপ্যাড থেকে কেদারনাথ ধামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মাঝ আকাশে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। ভয় পেয়ে যান যাত্রীরা। তৎক্ষণাৎ জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। কেদারনাথের হেলিপ্যাড থেকে কয়েক মিটার দূরে অবতরণ করে হেলিকপ্টার। প্রাথমিক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ থেকেই আরও বেশি রাতে পাওয়া যাবে মেট্রো, শেষ ট্রেন কটায়? বড় ঘোষণা
কঠিন পরিস্থিতিতে যেভাবে হেলিকপ্টারের পাইলট মাথা ঠান্ডা রেখে জরুরি অবতরণ করেন, তার প্রশংসা করেছেন রুদ্রপ্রয়াগের জেলাশাসক৷ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, সবাই নিরাপদে আছে। তীর্থযাত্রীরা কেদারনাথ দর্শন করে ফিরেও এসেছেন। সকাল ৭টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার চারধাম যাত্রার জন্য তীর্থযাত্রীদের নাম রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব রাধা রাতুরি। কেদারনাথ, যমুনোত্রী, বদ্রীনাথ এবং গঙ্গোত্রীর তীর্থযাত্রীদের যাত্রার তারিখ মেনে চলার আবেদনও করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লাকে যাবতীয় তথ্য দিয়েছেন রাধা রাতুরি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাতুরিকে মন্দির, যাত্রার রুট এবং তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা এবং থাকার জায়গা নিয়ে দৈনিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
যাত্রার রুটে ভিড় এড়াতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ সহযোগিতা করছে বলে জানা গিয়েছে। ভবিষ্যতে চারধাম যাত্রা পরিচালনার জন্য কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। এই কমিটি স্ট্র্যাটেজি তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে।