ব্যবসা-বাণিজ্য Money: পাঁচ বছর পর ১০ হাজার টাকার মূল্য কত দাঁড়াবে? দেখে নিন হিসেব Gallery May 29, 2024 Bangla Digital Desk সঞ্চয় বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল মুদ্রাস্ফীতি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। বিনিয়োগের সুদ মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে কম হলে ম্যাচিউরিটির সময় আদতে লোকসান হয়। সঞ্চয় এবং রিটার্নের দৌড়ে মুদ্রাস্ফীতিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। যে হারে মুদ্রার মূল্য হ্রাস পায়, যার ফলে পণ্য এবং পরিষেবার মূল্য বাড়ে সেটাই মুদ্রাস্ফীতি। মূলত তিন ভাগে মুদ্রাস্ফীতিকে ভাগ করা হয় – ডিম্যান্ড পুল ইনফ্লেশন, কস্ট পুল ইনফ্লেশন এবং বিল্ট ইন ইনফ্লেশন। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) এবং পাইকারি মূল্য সূচক হল সবচেয়ে ব্যবহৃত মুদ্রাস্ফীতি সূচক। একটা সহজ উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ১০০ টাকায় যে যে জিনিস কেনা যেত, আজ সেই সেই জিনিস কিনতে ১০০ টাকার বেশি খরচ করতে হয়। আবার পাঁচ বছর পর সেই একই জিনিস কিনতে আজকের থেকেও বেশি খরচ করতে হবে। কারণ মুদ্রাস্ফীতি। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। ধরা যাক, মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশ। এখন যদি বিনিয়োগকারী ৬ শতাংশের কম সুদের হারে কোথাও বিনিয়োগ করেন, তাহলে সেটা লোকসান। কারণ বিনিয়োগ করা হয়, মুদ্রাস্ফীতিকে হারাতে পারে এমন সম্পদ তৈরি করার জন্য। ৬ শতাংশের কম সুদ মানে রিটার্নের সময় তিনি যে টাকা হাতে পাবেন, তা মুদ্রাস্ফীতির হারের চেয়ে অনেক কম। অর্থাৎ এতে সম্পদ তৈরি হল না। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪.৮৩ শতাংশ (অস্থায়ী)। গ্রাম এবং শহরে মুদ্রাস্ফীতির হার যথাক্রমে ৫.৪৩ শতাংশ এবং ৪.১১ শতাংশ। তাহলে ১০ হাজার টাকার মূল্য আগামী পাঁচ বছরে কোথায় দাঁড়াবে? মুদ্রাস্ফীতি ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৮৩ শতাংশ ধরে নিলে পাঁচ বছর পর ১০ হাজার টাকার জিনিস ১২ হাজার ৬৬০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। মুদ্রাফীতির ফলে সাধারণ মানুষের নাজেহাল দশা হয় সন্দেহ নেই। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বোত্তম মুদ্রাস্ফীতি প্রয়োজন।