রাজধানী দিল্লি-সহ সারা দেশে প্রচণ্ড গরম। গরমের কারণে পরিস্থিতি এমন যে কিছু রাজ্য ও শহরের তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৫০ ডিগ্রির মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে এমন অবস্থা যে ঘর থেকে বার হচ্ছে না মানুষ। কিন্তু প্রশ্ন হল, এত গরমে সন্ধ্যায় ছাদে জল ঢাললে কি ঘরের তাপমাত্রা কমে? বার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আজ আমরা আপনাদের বলব-এর বিজ্ঞান।গরমের কারণে ঘরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, আপনি খালি পায়ে বাড়ির ছাদেও যেতে পারবেন না, কারণ ছাদ এত গরম হয়ে যায় যে আপনার পা পুড়ে যায়। ছাদ গরম করার কারণে বাড়ির ভিতরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে ছাদের নীচের ঘরের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি যেখানে নীচের ঘরের তাপমাত্রা কম।যখনই আমরা ছাদে জল ছিটিয়ে দিই, তখন তা বাষ্পে পরিণত হয় এবং এই প্রক্রিয়ায় তাপ মাটি দ্বারা শোষিত হয়। তবে এর কারণে চারপাশের পরিবেশ একটু ঠাণ্ডা হয়ে যায়। ভেজা ছাদ থেকে বাতাস নেমে আসে, যা কিছুটা শীতল। এটি ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা কমিয়ে মানুষকে ঠান্ডা রাখে।এখন প্রশ্ন হল গ্রীষ্মকালে আমরা কী ভাবে ঘরের তাপমাত্রা কমাতে পারি। আমরা আপনাকে বলে রাখি যে সন্ধ্যায় ছাদে জল ছড়ালে ঘর ঠান্ডা হতে পারে। শুধু তাই নয়, তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। অতিরিক্তভাবে বাষ্পীভবন শীতল করার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের চেয়ে কম শক্তি লাগে।এতে গরম বাতাসে শ্বাস নেওয়া সহজ হয়। বারান্দায় জল ছিটানো তাপ কমানোর একটি ভাল উপায়। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে গ্রীষ্মের সময়, বেশিরভাগ লোকেরা বাড়ির ছাদে এবং বাড়ির সামনে জল ছিটিয়ে দেয়। এটি তাপমাত্রায় সামান্য হ্রাস ঘটায়।যে কোনও স্থানে পানি স্প্রে করার আগে পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। ঘর ঠাণ্ডা করার জন্য খুব বেশি পানি স্প্রে করলে তা ছাদের ক্ষতি করতে পারে এবং ঘরে স্যাঁতসেঁতে হতে পারে। তাই ছাদে নির্ধারিত পরিমাণে জল ছিটাতে হবে। যাতে ছাদে জল থেমে যায়। অন্যথায় ছাদের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।
