লাইফস্টাইল Summer Health Care: গরমেও শরীর ও পেট থাকবে ঠান্ডা-ফুরফুরে, তাপপ্রবাহ ছুঁতেই পারবে না, শুধু সকালে খান এক-চামচ এই ‘পথ্য’ Gallery June 6, 2024 Bangla Digital Desk সূর্যের প্রখর তাপে পুড়ছে গোটা দেশ। ঘরে-বাইরে রীতিমতো হাঁসফাঁস দশা মানুষের। কোথাও দুদণ্ড বসেও যেন স্বস্তি নেই। কিন্তু এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচার উপায় কী? আর কীভাবেই বা শরীরকে ঠান্ডা রাখা যাবে? রইল এমন এক দাওয়াইয়ের কথা, যা শরীর ঠান্ডা রাখে, সঙ্গে একাধিক রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এই উপকরণটির নাম হল গোন্দ কাতিরা। প্রবল গরমে এটা সঞ্জীবনী হিসেবেই বিবেচিত হয়। উত্তরপ্রদেশের নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. প্রিয়াঙ্কা সিং বলেন, গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখার ওষুধ হিসেবে দারুণ উপযোগী গোন্দ কাতিলা। শুধু তা-ই নয়, পেটও ঠান্ডা রাখে এই উপাদান। কিন্তু গোন্দ কাতিলা আসলে কী? ডা. প্রিয়াঙ্কা বলেন, এটি আসলে এক ধরনের আঠা। যা আজকাল বিভিন্ন মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর রঙও আলাদা।যে কোনও আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান কিংবা মুদির দোকানে পাওয়া যায় গোন্দ কাতিরা। রাতে দুই চামচ গোন্দ কাতিরা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে সেই জল পান করতে হবে। এতে শরীর ঠান্ডা হবে। এছাড়া গোন্দ কাতিরা দিয়ে শরবতও বানানো যেতে পারে। গোন্দ কাতিরার উপকারিতাও অপরিসীম। অপ্রয়োজনীয় ঘাম, হাত-পা জ্বালাপোড়া এবং মহিলাদের রক্তপাত বা লিউকোরিয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। গোন্দ কাতিরায় প্রচুর পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড এবং ফাইবার রয়েছে। রক্তাল্পতার সমস্যাও দূর করতে সক্ষম গোন্দ কাতিরা। আবার এর মধ্যে ফাইবার থাকায় তা হজমের সমস্যাও দূর করে এবং পেটে ঠান্ডা করে। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাঁরা সকালে ৪ গ্রাম মেহেন্দি ফুল এবং দুই চামচ গোন্দ কাতিরা মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে খেতে পারেন। টনসিলের ব্যথা হলে তাঁরা ধনেপাতা ও গোন্দ কাতিরা বেটে তার প্রলেপ লাগাতে পারেন। যদিও গোন্দ কাতিরার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। আসলে শুধুমাত্র একজন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞই বয়স এবং রোগ অনুযায়ী এর সঠিক ডোজ বলতে পারেন।