ত্রিপুরা: ‘‘জনতার আশীর্বাদে ত্রিপুরায় ব্যাপক জয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করেছে দেশের ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা। দেশ তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের অপেক্ষা করছে’’৷ দুই আসনে জয়ের পরে বলছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহা।
এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ছিল। গণতন্ত্রের শক্তি এই নির্বাচনে প্রত্যক্ষ হয়েছে। আগামীদিনে দেশ কোন দিশায় এগিয়ে যাবে সেটা এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। দিল্লিতে পুনরায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে আগরতলায় নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে খেলা ঘুরিয়ে ‘স্টার’ অখিলেশ, সাপোর্টিং রোলে রাহুল! শুভেচ্ছা পাঠালেন মমতা
মানিক সাহা বলেন, ‘‘এবারের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব ও পূর্ব ত্রিপুরা আসনে কৃতী সিং দেববর্মা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী দীপক মজুমদারও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই বিপুল জয়ের জন্য আমি তাদের আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।’’
তিনি বলেন, ‘‘এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আজকের দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। শুধু সারা দেশই নয়, সারা পৃথিবী তাকিয়েছিল ভারতবর্ষের এবারের নির্বাচন নিয়ে। এবারের নির্বাচনে আমাদের একটা টার্গেট ছিল। তৃতীয়বারের মতো যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। নির্বাচনের ফলাফলে ভারতীয় জনতা পার্টি সহ এনডিএ জোটের আসন সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছুঁয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছি। আমরা এখন দেশের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছি।’’
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘এবারের নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষরাও অনেক পরিশ্রম করেছেন। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমি তাদেরও ধন্যবাদ জানাই। আমি ধন্যবাদ জানাই নির্বাচন কমিশনকে যারা এই নির্বাচনের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। গণতন্ত্র কাকে বলে এবার সারা পৃথিবী দেখাল। গণতন্ত্রের শক্তি কি এবারের নির্বাচনে সেটা প্রতিফলিত হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আগামীতে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা ও এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। দেশের নিরাপত্তা আরো শক্তিশালী হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে চারটি জাতির কথা সবসময় বলেন। তারা হচ্ছেন – গরীব, কৃষক, মহিলা ও যুবক। তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হলে দেশ এমনিতেই সামনের দিকে আরো এগিয়ে যাবে।’’ পরিকাঠামোর আরও উন্নয়নের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া গঠনের স্বপ্ন স্বার্থক হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।