মালিগাঁও: প্রকৃতিকে রক্ষা করতে স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবেশমূলক পদক্ষেপগুলি আরম্ভ করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রত্যেক বছর ৫ জুন তারিখে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। একটি শক্তিশালী গ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় গাছ, সুস্থ মাটি ও পরিষ্কার জলের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুভূমি ও খরা প্রতিরোধকরণ’ থিমকে সামনে রেখে সমস্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে জুড়ে এই বছরের “বিশ্ব পরিবেশ দিবস” পালিত হয়।
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে মালিগাঁওস্থিত কামাখ্যা কোচিং ডিপোতে ১০০ কেএলডি (কিলোলিটার প্রতি দিন) ক্ষমতা সম্পন্ন সেওয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) এবং একটি বায়ো-টয়লেট উদ্বোধন করেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। অনুষ্ঠানে অন্যান্য ব্যক্তিদের সাথে মুখ্য কার্যালয়ের বরিষ্ঠ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য কার্যালয় এবং পাঁচটি ডিভিশনে রেলওয়ে আধিকারিকদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপণের পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয়। এই অনুষ্ঠানে জেনারেল ম্যানেজার পরিবেশ ও হাউসকিপিং ম্যানেজমেন্ট উদ্যোগ সম্পর্কিত একটি বুকলেট উন্মোচন করেন।
বর্ধিত শহরাঞ্চলের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি প্রত্যাহ্বান হয়ে পড়েছে। এই সমস্যার সাথে মোকাবিলার জন্য ভারত সরকার ২০১৬ সালে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ম চালু করে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে নিউ বঙাইগাঁও ওয়ার্কশপ, ডিব্রুগড় ওয়ার্কশপে ইনসিনারেটর, কামাখ্যা ডিপোতে যান্ত্রিক লন্ড্রি, গুয়াহাটি স্টেশন ও ইস্ট গোটানগরে বায়ো-ডাইজেস্টার, মালিগাঁওয়ের সেন্ট্রেল হাসপাতালে বায়ো-মিথেনেশন স্থাপন ও চালু করা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে জেনারেল ম্যানেজার বলেন যে পরিবেশের প্রতিকূল প্রভাব হ্রাস করার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সবগুলি ফ্রন্টে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মূলত উত্তর পূর্ব অঞ্চলের পারিপার্শিকভাবে সংবেদনশীল স্থানগুলিতে কাজ করে। সেই অনুযায়ী, ট্র্যাক বরাবর গ্রিন বেল্ট সংরক্ষণ, বনানীকরণ, জল সংরক্ষণ, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করতে রেলওয়ে ইলেকট্রিফিকেশন, এলইডি লাইট ব্যবহারের মাধ্যমে শক্তি সংরক্ষণ, নবীকরণযোগ্য শক্তির উদ্যোগ, সৌর শক্তির ব্যবহার, বিভিন্ন পরিবেশ অনুকূল ব্যবস্থা সহ রোলিং স্টক থেকে বর্জ্য নিষ্কাশনের বায়ো-ফ্রেন্ডলি ডিসপোজালের মতো বিভিন্ন ব্যবস্থা উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের দ্বারা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জেনারেল ম্যানেজার উল্লেখ করেন।
এনএফআরডব্লিউডব্লিউও (উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে মহিলা কল্যাণ সংস্থা) দ্বারাও বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ রোপণ করে এবং স্কুলের শিশুদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়।দেশের বিকাশের জন্য উত্তর পূর্ব ভারতের স্থির উন্নয়নের অংশীদার হওয়াই উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের লক্ষ্য। ভারতীয় রেলওয়ে হলো গণ পরিবহণের সবচেয়ে পরিবেশ অনুকূল স্থায়ী পদ্ধতি। ‘ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুভূমি ও খরা প্রতিরোধকরণ’ থিমের সাথে সংগতি রেখে রেলওয়ের দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপগুলির ফলে সুস্থ ভূমি ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে, মরুভূমি যেন বিকাশিত না হয় তার চেষ্টা করা যাবে এবং জলের অভাব নিয়ন্ত্রণে মোকাবিলা করা যাবে।