নিউইয়র্ক: চাক দে ইন্ডিয়া। এভাবেও ফিরে আসা যায়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউ ইয়র্কে অবিশ্বাস্য জয় টিম ইন্ডিয়ার। ভারতীয় ব্যাটিং ব্যর্থ হলেও বোলারদের দাপটে জয় রোহিত বাহিনীর। মাত্র ১১৯ রান করেছিল ভারত। তারপরেও ম্যাচ জিতলেন রোহিত শর্মারা। নেপথ্যে ভারতীয় দলের বোলারেরা। মাত্র ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে ছ’রানে হারালেন রোহিত শর্মারা। কিন্তু জসপ্রীত বুমরাহের দারুণ স্পেলের পরেও অধিনায়ক রোহিত শর্মা এ কী করলেন৷ যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন চরমে৷
১৪ রানে তিন উইকেট নিয়ে কার্যত একার হাতে ম্যাচ ঘোরালেন জসপ্রীত বুমরাহ। নাসিম শাহ, হ্যারিস রাউফ ও মহম্মদ আমিরের বোলিংয়ের সামনে ভারতীয় দলের হয়ে ঋষভ পন্থ ছাড়া কেউ বলার মতো রান পাননি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রাউফ দুজনেই মাত্র একুশ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট পান। আমির দুই উইকেট নেন। ঋষভ ৩১ বলে ৪২ রান করেন।
এদিন দুর্দান্ত বোলিং করে গেম চেঞ্জার জসপ্রীত বুমরাহ প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন৷ রোহিত ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারের সময় বুমরাহ সম্পর্কে একটাই শব্দ বলেন! তিনি বলেন জিনিয়াস৷ ২৪ বল, ১৫ ডট, ৩ উইকেট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ধরণের মারাকাটারি পারফরম্যান্সের পরেও অধিনায়কের মুখ থেকে শুধুমাত্র একটাই শব্দ৷ এতেই মন ভেঙেছ সবার৷
আসলে টিম ইন্ডিয়ার থিঙ্কট্যাঙ্কের এই মুহূর্তে একটাই ফোকাস- সেটা হল টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়৷ তাই কোনওভাবেই একটা ম্যাচের পারফরম্যান্সে প্রশংসা দিয়ে ফোকাস নষ্ট করতে চান না কেউই৷ তাই নাকি প্রশংসার শব্দ এতটা মেপে মেপে৷
পন্থ ছাড়া দু’অঙ্কের রান অক্ষর প্যাটেলের ১৮ বলে ২০ ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার ১২ বলে ১৩। বিরাট রোহিত, সূর্য ,শিভম দুবে, হার্দিক, রবীন্দ্র জাদেজা সহ সবাই প্রায় ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। একবার বাকি থাকতে অলআউট হয়ে যায় ভারত। একশো কুড়ি রানের টার্গেটে পাকিস্তান ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে। ১৪ ওভার শেষে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ৮০ রান স্কোর বোর্ডে তুলে ফেলে পাকিস্তান। কিন্তু সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ার। মহম্মদ রিজওয়ান বুমরাহের বলে বোল্ড ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট।
বুমরাহের তিন উইকেট ছাড়াও হার্দিক ২ উইকেট নেন। ডেথ ওভারে অনবদ্য বোলিং করেন ভারতীয় বোলাররা। শেষ ওভারে দুটো বাউন্ডারি খেলেও ৬ রানে দলকে জিতিয়ে দেন অর্শদীপ। শেষমেশ নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানে আটকে যায় পাকিস্তান। ৬ রানে জয় পায় ভারত। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান মহম্মদ রিজওয়ানের ৩১ বলে ৪৪ করেন। ম্যাচের সেরা হন বুমরাহ। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেট কিপিং এ নিজের ছাপ রাখেন ঋষভ পন্থ। দুরন্ত দুটি ক্যাচ ধরেন। সব মিলিয়ে সামান্য রানের পুঁজি নিয়েও অনবদ্য পারফরমেন্সে ঐতিহাসিক জয় পায় রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলেরা।