আন্তর্জাতিক রেলপথের সমীক্ষার কাজ দ্রুত শুরু করবে রেল, গুরুত্ব পাবে চিকেন নেক

Indian Railways: আন্তর্জাতিক রেল পথের সমীক্ষার কাজ দ্রুত শুরু করতে চলেছে রেল, গুরুত্ব পেতে চলেছে চিকেন নেক

ফালাকাটা: দায়িত্ব নিয়েই নজরে আন্তর্জাতিক রেল সংযোগ প্রকল্প। চিকেন-নেক অংশ শক্তিশালী করতে নতুন আন্তর্জাতিক সংযোগ প্রকল্পের চূড়ান্ত স্থান সমীক্ষায় রেলওয়ে বোর্ডের অনুমোদন। পশ্চিমবাংলার একাধিক রেল পথের সঙ্গে সংযোগ হবে বাংলাদেশ ও নেপালের। দ্রুত সমীক্ষার কাজ শেষ করতে চায় রেল। রেল বোর্ডের তরফ থেকে এল চূড়ান্ত অনুমোদন।

বালুরঘাট, হলদিবাড়ি, কোচবিহার, নিউ মাল, আমবাড়ি, ফালাকাটা অংশের সঙ্গে যুক্ত হবে নয়া রেলপথ। অনুমোদিত চূড়ান্ত স্থান সমীক্ষার মোট দৈর্ঘ্য ১২৭৫.৫০ কিমি। বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগী নতুন রেলওয়ে লাইনের জন্য চূড়ান্ত স্থান সমীক্ষার মোট দৈর্ঘ্য ৮৬১ কিমি এবং নেপালের সঙ্গে ২০২.৫ কিমি। উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে প্রস্তাবিত বিকল্পমূলক পথের দৈর্ঘ্য হবে ২১২ কিমি।

আরও পড়ুন: রুপোর থালায় পঞ্চব্যাঞ্জন সাজিয়ে জামাই-আদর ঋদ্ধিমার বাবার, একরত্তি ধীরকে নিয়ে গৌরবের জামাইষষ্ঠীতে মেনু কী ছিল!

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রেল সংযোগের এফএলএস-এর জন্য অনুমোদিত পথগুলি হল বালুরঘাট-হিলি-পার্বতীপুর-কোনিয়া-লালমণিরহাট-মোগলহাট-গিতালদহ সেকশন। এটি হবে ৩২ কিমি, যার মধ্যে ১৪ কিমি হবে নতুন রেলওয়ে লাইন এবং ১৮ কিমি হবে গজ পরিবর্তন। প্রস্তাবিত বালুরঘাট-গিতালদহ-বামনহাট-সোনাহাট-গোলোকগঞ্জ- ধুবড়ি সেকশনের দৈর্ঘ্য হবে ৫৬ কিমি, যার মধ্যে ৩৮ কিমি হবে নতুন রেলওয়ে লাইন এবং ১৮ কিমি হবে গজ পরিবর্তন। বালুরঘাট-হিলি-গাইবান্ধা-মহেন্দ্রগঞ্জ-তুরা-মেন্দিপাথার সেকশনটিতে ২৫০ কিমি নতুন রেলওয়ে লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রস্তাবিত মঙ্গুরজান-পিরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও-পাঁচগড়-হলদিবাড়ি পথে ৬০ কিমিঃ নতুন রেলওয়ে লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রস্তাবিত ডালখোলা-পিরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও-পাঁচগড়-হলদিবাড়ি সেকশনে ৮০ কিমি নতুন রেলওয়ে লাইন নির্মাণ করা হবে। প্রস্তাবিত রাধিকাপুর-বিরল-পার্বতিপুর-কৌনিয়া-গিতালদহ সেকশনের দৈর্ঘ্য হবে ৩২ কিমি, যার মধ্যে ১৪ কিমি নতুন রেল লাইন এবং ১৮ কিমি গজ পরিবর্তন করা হবে। প্রস্তাবিত বেলোনিয়া-ফেনি-চট্টগ্রাম পথের দৈর্ঘ্য হবে ১৩১ কিমি, যার মধ্যে ৩৮ কিমি হবে নতুন রেল লাইন এবং ৯৩ কিমি হবে গজ পরিবর্তন। গেদে-দর্শনা-ইশ্বরদি-টঙ্গি-ভৈরব বাজার-আখাউরা-আগরতলা পথে ১০০ কিমি গজ পরিবর্তন করা হবে। প্রস্তাবিত পেট্রাপোল-বেনাপোল-নবহরণ-যশোর-রুপদিয়া-পদ্মবিল-লোহাগারা-কাশিআনি-শিবচর-মাবা-নিমতলা-গেন্দারিয়া-ঢাকা-টঙ্গি-ভৈরব বাজার-আখাউরা-আগরতলা পথে ১২০ কিমি গজ পরিবর্তন করা প্রয়োজন হবে। উপরের সমস্ত প্রস্তাবিত পথগুলি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেল সংযোগকে আরও শক্তিশালী করবে।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে বিকল্পমূলক নতুন পথটি ফরবেশগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সেকশনের মধ্যে নির্মাণ করা হবে এবং এর দৈর্ঘ্য হবে ১৭.৬০ কিমি। ঠাকুরগঞ্জ-চটেরহাট সেকশনের মধ্যে নতুন পথটির দৈর্ঘ্য হবে ২৪.৪০ কিমি। কুমেদপুর-আমবাড়ি ফালাকাটা নতুন পথে ১৭০ কিমি নতুন রেলওয়ে লাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে।  ​ভারত ও নেপালের মধ্যে রেল সংযোগের চূড়ান্ত স্থান সমীক্ষার জন্য অনুমোদিত পথগুলি হল বিরাটনগর-নিউ মাল জং. সেকশনের মধ্যে, এখানে ১৯০ কিমি নতুন রেলওয়ে লাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে। এবং প্রস্তাবিত গলগলিয়া-ভদ্রপুর-কাজলি বাজার সেকশনে ১২.৫ কিমি নতুন রেলওয়ে লাইন নির্মাণের প্রয়োজন হবে। ​উপরে উল্লেখিত নতুন প্রস্তাবিত রেলওয়ে লাইনগুলি চিকেন-নেক অংশের মাধ্যমে রেল সংযোগকে আরও শক্তিশালী করবে।