ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরিরত অবস্থায় কর্মচারীর মৃত্যু হলে EPF-এর টাকা কে পাবে? নমিনি না থাকলে কী হবে ? Gallery June 13, 2024 Bangla Digital Desk ইপিএফ বা এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড হল অবসরকালীন সঞ্চয় প্রকল্প। দেশের সমস্ত বেতনভোগী কর্মচারীরা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। অবসরকালীন এই সঞ্চয় স্কিমে প্রতি মাসে বেতনের একটা অংশ ইপিএফ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করতে হয়। আর একটা অংশ বিনিয়োগ করে নিয়োগকর্তা। অবসরের পর সুদ এবং আসল মিলিয়ে পুরো টাকা হাতে পাওয়া যায়। কর্মচারীর বেতন ৬,৫০০ টাকা বা তার বেশি হলে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক। যাঁরা ৬৫০০ টাকার বেশি আয় করছেন, তাঁরা সেচ্ছায় তহবিলে অবদান রাখতে পারেন। ইপিএফ অ্যাকাউন্টের দেখভাল করে ইপিএফও বা এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ই ইপিএফে অবদান রাখে। এখন প্রশ্ন হল, চাকরিরত অবস্থায় কর্মচারীর মৃত্যু হলে ইপিএফের টাকা কে পাবে? এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন জানাচ্ছে, এরকম পরিস্থিতিতে নমিনিকে ইপিএফের সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করা হয়। ইপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার সময় নমিনির নাম দিতে হয়। চাকরিরত অবস্থায় কর্মীর মৃত্যুতে তিনিই পুরো টাকা পাবেন। কর্মীর মৃত্যু হলে নমিনি ইপিএফের টাকার জন্য আবেদন করবেন: এটা খুব সাধারণ প্রশ্ন। সমস্ত বেতনভোগী কর্মী যাঁদের ইপিএফ অ্যাকাউন্ট রয়েছে, কোনও না কোনও সময় তাঁদের মনে এই প্রশ্ন জাগে। নমিনি টাকা পাবে, কিন্তু কীভাবে? টাকা পাওয়ার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয়? এবং সেই ইপিএফ অ্যাকাউন্টের কী হবে? আগেই বলা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় কর্মচারীর মৃত্যু হলে নমিনি পুরো টাকা পাবেন। কিন্তু যদি নমিনি না থাকে তাহলে? সেক্ষেত্রে পরিবারের নিকটতম সদস্যের হাতে ইপিএফের টাকা তুলে দেওয়া হয়। আবার যদি পরিবারের কোনও সদস্য বা নমিনি না থাকে বা টাকা পাওয়ার উপযুক্ত না হন, সেক্ষেত্রে আইনি উত্তরাধিকারী ইপিএফ-এর টাকা দাবি করতে পারেন। যদি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আবেদনপত্রে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী অনুমোদিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ইপিএফের টাকার দাবি করা যায়। এই পরিস্থিতিতে ইপিএফ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করা থাকে, দাবিপ্ত্রে সেই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের স্বাক্ষর থাকা বাঞ্ছনীয়।