পর্যটকদের জন্য সাজছে আগরতলা বিমানবন্দর ও সন্নিহিত এলাকা

পর্যটকদের জন্য সাজছে আগরতলা বিমানবন্দর ও সন্নিহিত এলাকা

ত্রিপুরা: পর্যটন প্রসারে আরও বেশি করে সাজানো হচ্ছে আগরতলা বিমানবন্দর ও তার সন্নিহিত এলাকা। বাংলা, উড়িষ্যার পর্যটক ত্রিপুরায় বেড়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর৷ আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দর-আগরতলা শহর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে সৌন্দর্যায়ন করা হবে।

সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বিষয়ে পর্যালোচনা সভা করা হয়েছে। মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দর থেকে আগরতলা শহর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে  সচিবালয়ে এক পর্যালোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শহরের এই সৌন্দর্য্যায়ন প্রকল্পে রাজ্যের চিরাচরিত মিশ্র সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। স্থানীয় শিল্পীদের যুক্ত করে এই কাজকে আরও আকর্ষণীয় করার উপর মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।

আরও পড়ুন: ‘পাতালেই’ শেষ ছোট্ট প্রাণ, ১৭ ঘণ্টার নিস্ফল চেষ্টা! ৫০০ ফুট বোরওয়েলে কীভাবে পড়ে গেল দেড় বছরের শিশুকন‍্যা? গুজরাতে মর্মান্তিক কাণ্ড

সৌন্দর্য্যায়নের কাজে গুণগতমানের ক্ষেত্রে কোনোরকম আপোষ যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্প রূপায়ণকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এছাড়া এয়ারপোর্ট-আগরতলা সড়কে দ্রুত স্ট্রিট লাইটের ব্যবস্থা করার জন্য বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

বৈঠকে জানানো হয়, আগরতলার রাধানগর মোটরস্ট্যান্ডে একটি আর্কষণীয় ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। মূলত ভিড় এড়াতে এবং পথচারীদের সুবিধার্থে এই ফুট ওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে। দৃষ্টিনন্দন এই ফুট ওভার ব্রিজটিতে দু’পাশে মোট ৪টি অ্যাসকেলেটর লাগানো হবে। আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে প্রদত্ত এই ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হবে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। বৈঠকে আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার তথা স্মার্ট সিটি প্রকল্পের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক ডা. শৈলেশ যাদব প্রস্তাবিত সৌন্দর্য্যায়ন প্রকল্পের একটি রূপরেখা সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।

আরও পড়ুন: ছাতা রাখুন সঙ্গে, সাত সকালেই আকাশ কালো করে ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! সঙ্গী ঝোড়ো হাওয়া, দক্ষিণের দুই জেলায় প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা

এই প্রকল্পটিতে বীরবিক্রম বিমানবন্দর থেকে আগরতলা পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের বিভিন্ন এলাকাকে নানাভাবে সাজানো হবে।  বৈঠকে আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার জানান, সৌন্দর্য্যায়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো, পুরানো দেওয়ালের জায়গায় নতুন দেওয়াল নির্মাণ, দেওয়ালের উপর ত্রিপুরার জনজাতি-সহ সকল জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রদর্শন, ঊনকোটি, ছবিমুড়ার রেপ্লিকা নির্মাণ, ছোট পার্ক গড়ে তোলা, স্টিলের ভাস্কর্য্য ও মূর্তি নির্মাণ, ফুটপাত তৈরি করা, আধুনিকমানের আকর্ষণীয় হোর্ডিং লাগানো, কালার জেব্রা ক্রসিং, বড় গাছ লাগানো ইত্যাদি। শ্রী যাদব জানান, এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে এই সৌন্দর্য্যায়নের কাজ শেষ হবে বলে শ্রী যাদব সভায় আশা প্রকাশ করেন। পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, নগরোন্নয়ন সচিব অভিষেক সিং, অর্থসচিব অপূর্ব রায় এবং এয়ারপোর্ট অথরিটির অধিকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।