লাইফস্টাইল Turmeric Use Tips: ডায়াবেটিস হাতের মুঠোয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সেরা, তা বলে রান্নায় মুঠো মুঠো হলুদ নয়, পুরুষরা মেপে মেপে খান নইলে বড় বিপদ Gallery June 18, 2024 Bangla Digital Desk : ভারতীয়রা রান্নায় নানারকম মশলা ব্যবহার করেন৷ বিভিন্ন প্রদেশের নিরিখে মশলা ব্যবহারের ধরণ হয়ত বদলে যায় কিন্তু মশলা ছাড়া ভারতীয় তথা বাঙালিরা খুব একটা রান্না করতে অভ্যস্ত নন৷ বিভিন্ন পুষ্টিবিদরাও মেনে নিয়েছেন রান্নায় মশলা দিলে শুধুমাত্র স্বাদবৃদ্ধিই হয় সেটা নয়, তার খাদ্যগুণে খাবার আরও পুষ্টিকর হয়ে ওঠে৷ Photo- Representative কাঁচা হলুদ বা গুঁড়ো হলুদ যেভাবেই রান্নায় এই চিরন্তন ভারতীয় মশলায় গুণ অনেক৷ একদিকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি এতে ঠাসা রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভাণ্ডার৷ কিন্তু তা বলে গাদাগাদা হলুদ দিলেই যে একেবারে গুণের জোয়ারে ভাসবেন তা কিন্তু নয়৷ উল্টে পরিমাণের বাইরে হলুদ গুঁড়ো রান্নায় দিলে বা কাঁচা হলুদ এমনিতেই খেলে ভালর বদলে মন্দ হতে পারে৷ জেনে নিন বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা কতটা পরিমাণ হলুদ খেতে বলছেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে৷ Mantwa Radebe একজন বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ৷ তিনি নিউট্রিশনে স্নাতকোত্তর৷ পুষ্টিতে বিজ্ঞান (MSc) এই রাদেবের রয়েছে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার৷ তাঁর মতে পুরুষদের হলুদের ডোজ বয়স এবং তাঁর কী ধরণের অসুখ রয়েছে এবং তাতে কী ধরণের ওষুধ চলছে সেই অবস্থার উপর নির্ভর করে। তাঁর মতে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের প্রস্তাবিত পরিমাণ প্রতিদিন ১৫০-২৫০ মিলিগ্রাম। হলুদের নির্যাসের অতিরিক্ত ব্যবহার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ব্রাজিলের পুষ্টিবিদ ক্যাসিয়া ডি মুলার ৷ কর্মক্ষেত্রে তাঁর ২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ তিনি নিউট্রিশনে ব্যাচেলর৷ বিশেষজ্ঞের মতামত অনুসারে নিয়ম করে হলুদ খেলে শরীরে লাভ হবে৷ হলুদের গুণ পুরোপুরি পেতে দিনে ১০০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম প্রতি দিন ব্যবহার করা উচিত। তাঁর মতে সরাসরি হলুদ খাওয়ার থেকে সাপ্লিমেন্ট ফর্ম্যাটে হলুদ খেলে বেশি কার্যকরী হয়, কারণ এতে হলুদের গুণমান নিশ্চিতভাবে ভাল হয়৷ হিউম্যান নিউট্রিশনে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী মারিয়া এফ. কার্জনের কর্মক্ষেত্রে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ তিনি আর্জেন্টিনার বাসিন্দা৷ নিরাপদ দৈনিক পরিমাণ হল হলুদ গুঁড়ো সর্বোচ্চ ১৫০০ মিলিগ্রাম। তবে এর চেয়ে উচ্চ মাত্রা বিপজ্জনক হতে পারে৷ এটির সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নিলে সতর্ক থাকা উচিত৷ কাঁচা হলুদে আছে অনেক বেশি কারকিউমিন ও এসেনশিয়াল অয়েল। রোগপ্রতিরোধ শক্তি, পুষ্টিগুণ এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকর। সজলভ্যতার জন্য হলুদগুঁড়ো বেশি জনপ্রিয়। পুষ্টিবিদ রূপালি দত্তার মতে ডায়েটে কাঁচা হলুদ ও হলুদগুঁড়ো মিলিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। তাহলেই সেরা ফল মিলবে। শুধু পরিমাণের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। টক্সিন দূরঅ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি, অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদানে ভরপুর হল কাঁচা হলুদ। শরীর থেকে টক্সিন ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করে। রক্ত পরিশোধক হিসেবে কাজ করে কাঁচা হলুদ। মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণপিত্ত উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ হলুদের কারকিউমিন৷ মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এবং সুস্থ পরিপাক ক্রিয়ার সহায়ক৷ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণসকালে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়৷ ইনসুলিন উৎপাদন ব্যাহত হলে সার্বিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হয়৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে কাঁচা হলুদ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে৷ রোগ প্রতিরোধ শক্তিকাঁচা হলুদে থাকে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি বৈশিষ্ট্য৷ তাই সার্বিক রোগ প্রতিরোধ শক্তি মজবুত করে৷ সর্দিকাশি-সহ মরশুমি রোগ থেকে রক্ষাকবচ তৈরি করে৷