বুনো উল্লাস

“সাত মাস আগে মন ভেঙেছিল, এবার শান্তি পেলাম”, বলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা

বাঁকুড়া: ১৯ নভেম্বর ২০২৩। যেন ভারতের মুখের খাবার কেড়ে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান বাঁ হাতি ব্যাটার ট্রাভিস হেড। সেই সময় বাঁকুড়ার ক্রিকেটপ্রেমী পাড়া কুচকুচিয়া ফাইনালের দিন বানিয়েছিল ২৪ ফুট উচ্চতার ওয়ার্ল্ডকাপ।

ক্যামেরার সামনে ফাইনালের আগে বিস্ফোরক মন্তব্য রেখেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু সেদিন গোটা দেশের হয়েছিল স্বপ্নভঙ্গ। চোখে জল নিয়ে মাথা নিচু করে সেদিন রাতে বাড়ি গিয়েছিলেন সকলে।

সাত মাস পর আবারও একটি বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত! প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা! বুকে সব আশা চেপে রেখে এই বার আগের মতো আয়োজন না করলেও বিরাট, রোহিত এবং বুমরাহ এর পোস্টার লাগিয়ে দুরু দুরু বুকে ম্যাচ দেখা শুরু করেছিলেন বাঁকুড়া শহরের ক্রিকেটপ্রেমী এই পাড়া!

আরও পড়ুন- সূর্যকুমারের পা বাউন্ডারি ছুঁয়েছিল! ক্যাচ নিয়ে প্রশ্ন, বিতর্কিত ভিডিও নিয়ে হইচই

রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল, একপ্রকার মাটিতে লুটোপুটি অবস্থা, কিন্তু অবশেষে ১১ বছরে ৫ টা ফাইনাল এবং ৪ টে সেমিফাইনাল হারের পর বিশ্বকাপ পেল ভারত। দুঃখ ঘুচল বাঁকুড়ার ক্রিকেট প্রেমী কুচকুচিয়ার।

জেতার পর উল্লাস। রোহিত, বিরাটের মতোই কয়েকজনের চোখেও দেখা গেল জল। একের পর এক ক্রিকেটারকে শুভেচ্ছা জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বুমরাহর অবিশ্বাস্য বোলিং, বিরাটের ফাইনালে রাজার মতো ইনিংস , “স্কাই” এর ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ক্যাচ এবং রোহিত শর্মার ক্যাপ্টেন্সিকে কুর্নিশ জানালেন এই পাড়ার মানুষজন। সারা রাত ধরেই চলেছে উৎযাপন।

—- Polls module would be displayed here —-

ফাইনালের আগে বাঁকুড়ার এক গৃহবধুও বানিয়েছিলেন চালের উপর বিশ্বকাপ। দেশলাই কেটে বিশ্বকাপ বানিয়েছিলেন এক যুবকও। তাদের পরিশ্রম হয়েছে স্বার্থক।

আরও পড়ুন- একটা ক্যাচ বদলে দিল জীবন! সূর্যকুমারের বড় ঘোষণা, জীবনের সব থেকে বড় সিদ্ধান্ত

সেরকমই বাঁকুড়ার ক্রিকেটপ্রেমীদের অপেক্ষা এবং বিশ্বাসের মূল্য রাখতে পেরেছেন রোহিত বাহিনী। এবার অপেক্ষা পরের বড় টুর্নামেন্টে। তখন দেখার মতোই কিছু একটা করবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী