বিনোদন Bollywood Actor: ছিল না রেশন কেনার টাকা! ইংরেজির অজ্ঞতায় মিলত না চাকরি, সেই কাঙাল আজ কোটি টাকার মালিক, চিনলেন কি নায়ককে! Gallery June 30, 2024 Bangla Digital Desk রাতারাতি সাফল্য আসে না। তা সে তারকাসন্তান হোন অথবা নবাগত-নবাগতা। রজনীকান্ত থেকে শাহরুখ খান, সকলকেই কাঁটায় ভরা পথ দিয়ে হেঁটে এসে ধীরে ধীরে সাফল্যকে চাক্ষুষ করতে হয়েছে। তাঁদের মতোই হাজার হাজার শিল্পী আছেন, যাঁদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের আগে দু’বেলা পেট ভরানোর জন্য চিন্তা করতে হয়েছে। একসময় জীবন যাপনের ন্যূনতম চাহিদাগুলির জন্যও লড়াই করতে হয়েছে এঁদেরকে। এমনই একজন অভিনেতার কথা আজ বলব, যাঁর কাছে রেশন কেনার মতো টাকাও ছিল না এক সময়ে। আর সেই কাঙাল আজ রাজা। বলিউড সুপারস্টার আজ ছবির জগৎ থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও কোটি কোটি টাকার মালিক। আমরা যে অভিনেতার কথা বলছি তিনি অভিনয় এবং নাচের দক্ষতার জন্য পরিচিত। ইংরেজি বলতে পারতেন না বলে হোটেলে চাকরির জন্য প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন অভিনেতা। তারপর তিনি অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরে বক্স অফিসে রাজত্ব করেন। চিনতে পারলেন নায়ককে? তিনি গোবিন্দা। বলিউডের অন্যতম বড় তারকা। কমেডি চরিত্রে অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন বারবার। বলিউডে সুপারস্টারের কৃতিত্ব অর্জনের আগে জীবন সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছিলেন গোবিন্দা। অভিনেতা একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, শৈশব ছিল আর্থিক অনটনে ভরা। একটা সময় ছিল যখন তাঁর পরিবারের রেশন কেনার সামর্থ্যও ছিল না। তাই পেট ভরানোর জন্য দোকান থেকে ধার নিতে হত। যেহেতু তাঁরা রেশনের জন্য টাকা দিতে পারতেন না, দোকানদার তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখতেন। আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে গোবিন্দা অনেক জায়গায় চাকরি খুঁজছিলেন। কিন্তু যেহেতু তিনি ইংরেজি জানেন না, তাই চাকরির ক্ষেত্রেও তাঁর ভাগ্য খুলছিল না। তবে পরে অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনি সুপারস্টার হয়ে যান। ১৯৮৬ সালে ‘তন-বদন’ ছবির মাধ্যমে তাঁর বলিউডে প্রবেশ। পরবর্তী দু’টি ছবি ‘লাভ ৮৬’ এবং ‘ইলজাম’ বক্স অফিসে ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। তারপর ‘শোলা অর শবনম’ ছবি দিয়ে খ্যাতির চূড়ায়। তারপর একে একে ‘কুলি নং ১’, ‘আন্দোলন’, ‘সাজন চলে সসুরাল’, ‘হিরো নং ১’-এর মতো হিট ছবির নায়ক হয়ে ওঠেন। ২০১৭ সালে ছবির দুনিয়া থেকে সরে দাঁড়ান। তখন পরপর একাধিক ছবি ফ্লপ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও তিনি এখনও বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ১০-১২ কোটি টাকার বার্ষিক আয়, এবং ১৭০ কোটি টাকার মালিক তিনি। তিনি এখনও প্রতি সিনেমায় প্রায় ৫-৬ কোটি টাকা নেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি ব্র্যান্ড প্রতি প্রায় ২ কোটি টাকা চার্জ করেন।