একশো বছর পর ২০২৪ সালে আষাঢ় মাসে কৃষ্ণপক্ষের দিনে দেশ ও বিশ্বের জন্য বড় দুর্যোগ আসতে চলেছে। ২৩ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয়া তিথি ও চতুর্থী তিথির ক্ষয় হওয়ার কারণে ১৩ দিনের এই পক্ষ গঠিত হচ্ছে, যাকে জ্যোতিষীরা দুর্যোগকাল হিসেবে দেখছেন।জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, এই কাকতালীয় ঘটনাকে অশুভ মনে করা হয়। অতএব, দুর্যোগের ১৩ দিন কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়।জয়পুরের পাল বালাজি জ্যোতিষ ইনস্টিটিউটের পরিচালক জ্যোতিষী ডাঃ অনীশ ব্যাস বলছেন, ভারতীয় ক্যালেন্ডারে, প্রতিটি পক্ষ ১৫ দিনের। কিন্তু আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষ ১৫ দিনের পরিবর্তে ১৩ দিন থাকবে। ভারতীয় শাস্ত্রে একে বিশ্ব ঘাসপক্ষ বলা হয়। এই ১৩ দিন ঘোর অশুভ। এই সময়ে সকল প্রকার শুভকাজ নিষিদ্ধ।তবে খুব প্রয়োজন হলে শুভ দিন ও তারিখ দেখে কাজ করা যেতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি, রোগের সংক্রমণ, মূল্যস্ফীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মারামারি, বিবাদ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।এই সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যালেন্ডার অনুসারে, ২০৮১ সালের আষাঢ় মাসে ফের ২৩ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত কৃষ্ণপক্ষ হবে। এই সময়ে দ্বিতীয়া ও চতুর্থী তিথি হ্রাস পাবে।এই কারণেই আষাঢ়ে কৃষ্ণপক্ষ ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এইভাবে কৃষ্ণপক্ষ ১৫ দিনের পরিবর্তে ১৩ দিনের হবে।একই রকম কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছিল ১৯৩৪ সালে, সেবার বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছিল। একই রকম দুর্ভাগ্যের কারণে ১৮৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধ হয়। জ্যোতিষীরা অনুমান করেন যে তখনও ১৩ দিনের কৃষ্ণপক্ষ ছিল।১৯৯৯ সালে যখন ১৩ দিনে পক্ষ হয়েছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্গিল যুদ্ধ হয়েছিল। ১৯৭৯ এবং ২০০৫ সালেও এই কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এই সময়কালে বিবাহ, বিনিয়োগ বা মূল্যবান জিনিস কেনার মতো কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়।Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা মানতে বাধ্য করেনা বা অনুরোধও নয় নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
