মুম্বই: চেন্নাইয়ের চিপকের মাঠে আই পি এলের কাপ তুলেছিল, কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ গ্যালারির সকলের মুখে চওড়া হাসি, সমাজ মাধ্যমে ছবির বন্যা৷ কেবল ফাইনাল নয়, যে কোনও ম্যাচেই শাহরুখের জুহি চাওলার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ অথচ সেই জুহিই নাকি দল গঠনের প্রথমদিকে মিটিংগুলোতে প্রায় অনুপস্থিত থাকত৷ কী রহস্য ছিল এই অনুপস্থিতির পিছনে?
গুজরাট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক ইভেন্টে জুহি চাওলা প্রথম দিকে মিটিংয়ের উপস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন৷ ললিত মোদি তাঁকে ও শাহরুখকে একসঙ্গে একটা দল করার পরামর্শ দেন৷ জুহি চাওলার কথায়, ‘‘তিনি চেয়েছিলেন, গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ দলের মালিক হোক৷ তখন যদিও আমরা কীভাবে একটা ক্রিকেট দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি চালাতে হয়, সেই সব কিছুই জানতাম না৷ মনে আছে আমাদের সমস্ত মিটিং-ই মান্নাতেই হত. আমাদের টিমের কী পোশাক হবে? সেই নিয়েও অনেক দিন ধরে আলোচনা হত৷’’ প্রথম দিকে শাহরুখ খানের কাল ও সোনালি রঙের ইউনিফর্ম পছন্দ হয়েছিল. তা নাকি একেবারেই না পসন্দ ছিল জুহি চাওলার৷ পরবর্তী কালে এই নিয়ে আরও অনেক আলোচনা হয়েছিল৷
যাই হোক, তিনি আরও জানান, ‘‘এই মিটিংগুলো মান্নাতে রাতের দিক করে হত৷ মিটিং সিডিইল হত দশটার দিকে. কিন্তু কথা বলতে বলতে ১১ টা হয়ে যেত৷ বিভিন্ন ধরনের কথা আলোচনা হত, শেষ অবধি ঠিকঠাকভাবে মিটিংগুলো শুরু হতে প্রায় ১২টা থেকে ১২:৩০ বেজে যেত৷ তারপর প্রায় পরপর দুই থেকে তিনটে মিটিং হত৷ একটা সময় পর আর আমি মনোযোগ দিতে পারতাম না৷ তাই শেষের দিকে বলেই দিলাম আমি আর পারব না, তোমরা মিটিংগুলো কর, আমি আর আসছি না৷’’
জুহি চাওলা, শাহরুখ খান অনেকদিনধরেই একে অপরের খুব কাছের বন্ধু৷ তিনি শাহরুখের সঙ্গে প্রথম আলাপের গল্প শোনালেন আমাদের, ‘‘আমি আর ও অনেক সিনেমা একসঙ্গে করি, কিন্তু প্রথম ওকে দেখি, ‘রাজু বান গেয়া জেন্টালম্যান’ সিনেমার সেটে৷ প্রডিউশার বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন ‘তোমার নায়ক ‘ফৌজি’ ধারাবাহিকে ছিল৷ আমিরখানের মতো দেখতে৷ আমি তো আমির খানের মতো চকলেট বয়কে কল্পনা করেছিলাম৷ শাহরুখকে দেখে একটু হতাশই হয়েছিলাম প্রথমে৷’’