ফাইল ছবি

Summer Electricity Bill: গরম কাটতেই ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল! কী কী চলেছিল বাড়িতে?

কানপুর: গ্রীষ্মকাল এলেই বুক দুরুদুরু। পরের মাসে বিদ্যুতের বিল কত আসবে কে জানে! এদিকে গরমের হাত থেকে বাঁচতে সারাদিন পাখা চালাতেই হয়। রাতে এসি না চললেও ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড়। এবার গরমের প্রকোপ কমতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অতিরিক্ত ইলেক্ট্রিক বিল আসার অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক পরিবারের তো মাথায় হাত! হাজারের গন্ডি ছাড়িয়ে বিল এসেছে লাখে! পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে একটি কুলার, একটি ফ্রিজ আর দুটি পাখা চলেছে কেবল গরমের দিনে। এর বেশি কিছুই না। তাতেই নাকি বিল এসেছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা! কী ভাবে হল এমন?

বিদ্যুৎ দফতরে খোঁজ নিতে জানা যায়, কোনও এক যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়েছে। কানপুর বিদ্যুৎ পরিসেবা দফতরের আধিকারিক শ্রীকান্ত রঙ্গিলা বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। আশ্বাস দেন, তাঁরা এই সমস্যার সমাধান করে সঠিক বিল জানাবেন সেই পরিবারকে। বিপুল অঙ্কের সেই বিল তাঁদের মেটাতে হবে না। রঙ্গিলার কথায়, “সার্ভারে কিছু গোলমাল হয়েছিল। তাতেই মিটারে যান্ত্রিক ত্রুটি হয়। সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।”

আরও পড়ুন-পাইথনের এত বড় পেট! কাটতেই বেরোল হারানো স্ত্রীর দেহ

সূত্রের খবর, গৃহকর্তা চন্দ্রশেখর তাঁর মেয়ে আর জামাইকে নিয়ে সঞ্জয়নগরের ফুলবাগে থাকেন। মাসে তাঁর আয় মাত্র ৯ হাজার টাকা। ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল মেটানো তাঁর পক্ষে কার্যত অসম্ভব। চন্দ্রশেখর জানান, বিল আসা মাত্রই ছুটেছিলেন বিদ্যুৎ দফতরে। অনেক কাঠখড় পুহিয়েও সমাধান হয়নি। কেউ তাঁর অভিযোগে আমল দেয়নি বলেই জানান। চন্দ্রশেখরের দাবি, স্থাবর অস্থাবর যা আছে সব বেচেও এত অঙ্কের বিল মেটানো সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে। এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও বিপদ। শেষমেশ কানে যায় দফতরের। আধিকারিক সমাধানের আশ্বাস দেন। চন্দ্রশেখর বলেন, “কোনও ভাবেই আমাদের পরিবারে বিদ্যুতের বিল ২০০০ টাকার বেশি হতে পারে না। এর বেশি দিইনি কোনও দিন।”
সম্প্রতি দিল্লি নিবাসী আরও এক পরিবারও একই অভিযোগ করেন। তাঁদেরও নাকি ৩০ হাজার টাকা জুন মাসের বিদ্যুতের বিল এসেছিল।