বিনোদন Bollywood Gossip: জয়ের জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘর করতে গিয়েছিলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে শাশুড়ি যা করেছিলেন ২৯ বছর বাদে মুখ খুললেন জুহি Gallery July 6, 2024 Bangla Digital Desk ২৯ বছর ধরে উদ্যোক্তা জয় মেহতার সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপন করেছেন জুহি চাওলা৷ বলিউডের এক সময়ের নম্বর ওয়ান হিরোইন সর্বদা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে লাইমলাইট থেকে দূরে রেখেছেন৷ তিনি সম্প্রতি তাঁর বিয়ে নিয়ে এবং তাঁর শাশুড়ি কীভাবে তাঁর বিয়ের নিমন্ত্রণে কাটছাঁট করেছিলেন৷ জুহি বিয়ের দিনে এই কাণ্ডে একেবারে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন৷ গুজরাত চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, জুহি জানিয়েছিলেন সেই সময়ে তিনি একাধিক বড় প্রজেক্টে কাজ করছিলেন৷ তিনি বলেন “আমি আমার কেরিয়ারের সত্যিই বড় কিছু ছবির শ্যুটিং করছিলাম এবং আমার বিয়ে করার কথা ছিল। আমার মা এক বছর আগে মারা গিয়েছিলেন৷’’ বিয়ের তারিখ এগিয়ে আসছিল, সেই সময়েই তিনি কী বলেন তাঁর হবু শাশুড়িকে তাই জানিয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাবছিলাম আমার মা চলে গেছে, যাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভালবাসতাম, এবং এখন আমার কেরিয়ারও চলে যাবে। তাই, আমি একদিন ভেঙে পড়লাম এবং আমি আমার শাশুড়িকে বললাম এবং তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে।’’ তাঁর শাশুড়ির ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন জুহি৷ তিনি বলেন যে তিনি প্রায় ২০০০ টি আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন৷ যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন অতিথিদের কাছে গিয়েছিল। এরপর জুহির অনুরোধে তিনি পরিবারকে বড়সড় বিয়েবাড়ি না আয়োজন করার জন্য রাজি করান৷ এরপর জুহি জানান ‘‘আমি বাড়িতে বিয়ে করেছি শুধুমাত্র পরিবার এবং নিকটতম বন্ধুদের উপস্থিতিতে। তাই মাত্র ৮০-৯০ জন উপস্থিত ছিল। একবার ভেবে দেখুন যে আমার শাশুড়ি ইতিমধ্যেই পাঠানো আমন্ত্রণগুলি বাতিল করেছিলেন৷’’ জুহি এবং জয়ের পরিচয় হয় চলচ্চিত্র নির্মাতা রাকেশ রোশনের মাধ্যমে৷ সেলিব্রিটি ডান্স রিয়েলিটি শো ঝলক দিখলা জা-তে জুহি তার প্রেমের জীবন এবং জয় কীভাবে প্রতিদিন তাঁকে চিঠি লিখতেন সে সম্পর্কে বলেছিলেন। তিনি বলেন, “বিয়ের আগে সে আমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখত।’’ এরপর তিনি প্রবল হেঁসে বলেন কিন্তু বিয়ের পর সব বন্ধ হয়ে যায় । তিনি বলেন, ‘‘ সেই দিনগুলিতে, আমরা একে অপরকে চিঠি এবং কার্ড পাঠাতাম যা এখন ইমেল এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে পরিণত হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, “একবার, আমার জন্মদিনে, তিনি আমাকে লাল গোলাপ ভর্তি একটি ট্রাক পাঠিয়েছিলেন। এবং আমি তাকে ‘হ্যাঁ’ বলতে এক বছর সময় নিয়েছিলাম।’’