ব্যবসা-বাণিজ্য Business: এই গাছ সাক্ষাৎ ঈশ্বরের আশীর্বাদ! ১০ পয়সায় শুরু হয় এই ব্যবসা! পাতা-ফল সবই অমূল্য Gallery July 12, 2024 Bangla Digital Desk *সর্বত্র মূল্যস্ফীতির আঁচ। মুদ্রাস্ফীতির জন্য মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু তারপরও মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। ভরতপুরের রুদাওয়াল শহরের জারিলা গ্রামে এখনও এমন অনেক পরিবার রয়েছে। যারা তাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে। মুদ্রাস্ফীতির সময়েও তালপাতা থেকে ঝাড়ু তৈরি করে কম দামে বিক্রি করেন তারা। *ঝাড়ু প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, ৫০ বছর আগে ১০ পয়সা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই ব্যবসা। তবে আজ এই ঝাড়ুর দাম ১০ টাকা। তবে এতে খুব একটা লাভ হয় না। প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি ঘরে বসেই কর্মসংস্থান হচ্ছে এইজন্যই এই কাজ করা। *এই গ্রামে তৈরি ঝাড়ু ভরতপুর-সহ আশেপাশের শহর এবং গ্রামে বিক্রি হয় এবং বাইরেও সরবরাহ করা হয়। তারপরও সরকারের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা মেলে না। *খেজুরের ঝাড়ু প্রস্তুতকারক শিশুপাল জানান, তাঁর দাদা খেজুর পাতা দিয়ে ঝাড়ু তৈরি করতেন এবং আমরা সেই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখছি। তবে এই মুদ্রাস্ফীতির সময়েও তার বানানো ঝাড়ুর দাম মাত্র ১০ টাকা। *একটি ঝাড়ু তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় ২৫ মিনিট। একজন ব্যক্তি প্রায় একদিনে ২৫-৩০টি ঝাড়ু প্রস্তুত করেন। তবে এ কাজ থেকে তেমন আয় না পেলেও ঘরে বসেই কাজ করতে পারেন তারা। *ভরতপুরের রুদাওয়াল এলাকার আশপাশে প্রচুর খেজুর গাছ রয়েছে। খেজুর গাছের মালিকের থেকে ২৫-৩০ টাকায় একটি গাছের পাতা কিনে আনেন। পাতাগুলি দু’দিনের মধ্যে ছিঁড়ে শুকানো হয় এবং এরপর ঝাড়ু তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। *একটি ঝাড়ু তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় ২৫ মিনিট। তবে তালপাতা দিয়ে তৈরি ঝাড়ু দেখতে সুন্দর। তার পেছনেও পরিশ্রম রয়েছে যথেষ্ট। ঝাড়ু বানানোর সময় তাদের হাতে ফোস্কা পড়ে। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য এই কাজ করতে হয় তাঁদের।