নিম গাছের ধর্মীয় গুরুত্ব ছাড়াও আয়ুর্বেদিক গুরুত্ব যেমন রয়েছে, তেমনই এর সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে। নিম গাছ বর্ষাকালে ঘর থেকে পোকামাকড় তাড়াতে সাহায্য করে। এটি শুধুমাত্র তার ঔষধি গুণের জন্যই পরিচিত নয়, এটি পোকামাকড়, সাপ এবং বিছেজাতীয় বিষাক্ত প্রাণীকে দূরে রাখতে আশ্চর্যজনক ভাবে কার্যকর। এর তিক্ত গন্ধ এই সব প্রাণীদের ঘরে আসতে দেয় না।
–তুলসি শুধু পুজোতেই উপকারী নয়, বর্ষাকাল থেকে পোকামাকড় দূরে রাখতেও বেশ কার্যকরী। এর তীক্ষ্ণ গন্ধ সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের পছন্দ নয়। তাই এগুলি তুলসির জায়গা থেকে দূরে থাকে। তাই, আমরাও যদি আমাদের বাড়িকে পোকামাকড়, সাপ এবং বিছে থেকে দূরে রাখতে চাই, তাহলে অবশ্যই বাড়িতে তুলসি গাছ লাগাতে হবে। এগুলি বাড়ির চারপাশে বা এমনকি আমাদের ব্যালকনিতেও লাগানো যেতে পারে।
প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত পুদিনা গাছও পোকামাকড়ের শত্রু। পুদিনা গাছ কেবল তার সুগন্ধ এবং স্বাদের জন্যই পরিচিত নয়, এই উদ্ভিদটি পোকামাকড় দূরে রাখতেও আশ্চর্যজনক ভাবে কার্যকর। আমরা খুব সহজেই এটিকে একটি পাত্রে বা জানালার আশেপাশে কোনও টবে লাগাতে পারি।
যদি বর্ষাকালের পোকামাকড় বা ডেঙ্গু মশা থেকে পরিত্রাণ পেতে হয়, তাহলে অবশ্যই ঘরে সাইট্রোনেলা গাছ লাগানো উচিত। এটি বাড়িতে লাগালে খুব সহজেই আমরা মশা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এই গাছটি লাগালে আমরা বর্ষার পোকামাকড় থেকেও দূরে থাকব। আমরা এটি আমাদের বাড়ির বাগানেও লাগাতে পারি।
— আমরা আমাদের বাড়ির চারপাশে লেমনগ্রাস লাগাতে পারি। আমরা অনেকেই এই গাছের চা এবং রস পান করে থাকি। যদিও এই উদ্ভিদের গন্ধ খুবই সুন্দর তবে মশারা এটি মোটেই পছন্দ করে না।