কলকাতায় নতুন মেট্রোর কাজ শুরু হবে শীঘ্রই!

Tunnel boring machine: জার্মানি থেকে আসছে মেশিন! কলকাতায় কবে, কোন মেট্রোর সুড়ঙ্গ খোঁড়া হবে?

কলকাতা: মেট্রোরেলের রুট সম্প্রসারণের জন্য সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে। সূত্রের খবর, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হবে। কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ‘কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনে ভিক্টোরিয়া স্টেশনের নির্মাণকাজ ভালভাবেই চলছে। পার্পল লাইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হয়ে উঠবে ভিক্টোরিয়া। যা কলকাতার ময়দান এলাকার গেটওয়ে হবে।’ সেইসঙ্গে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টাও চলছে। চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে ‘ওয়ার্ক অর্ডার’-ও।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশনের ১৭০ মিটার ডি-ওয়াল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে এখনও ৫৩৯ মিটার ডি-ওয়াল তৈরি করবে জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের আরভিএনএল। সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে মাসচারেক লাগবে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মাটি খননের কাজ শুরু করা হবে। সেইসঙ্গে স্টেশনের স্ল্যাব নির্মাণের কাজ চলবে। যে আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশনের দৈর্ঘ্য হবে ৩২৫ মিটার। আর ১৪.৭ মিটার গভীরে তৈরি করা হবে ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম।

জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডরের খিদিরপুর থেকে পার্কস্ট্রিট পর্যন্ত টানেল তৈরির কাজের জন্য দুটি টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহার করা হবে। যা খিদিরপুর শাফট থেকে নামানো হবে বলে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। বর্তমানে খিদিরপুরের সেন্ট থমাস স্কুল চত্বরে সেই শাফট তৈরির কাজ চলছে। এই কাজে ঐতিহাসিক সৌধ ভিক্টোরিয়ার ক্ষতি হতে পারে কি না, তা জানতে প্রয়োজনীয় সমীক্ষা করা হয়েছিল। মাদ্রাজ আইআইটি-এর তত্ত্বাবধানে করা ওই সমীক্ষায় অবশ্য আশঙ্কার আভাস মেলেনি। মাটির ১৪.৭ মিটার গভীরতায় ৩২৫ মিটার লম্বা ওই স্টেশন তৈরি হবে টপ ডাউন (উপর থেকে নীচের দিকে নির্মাণ) পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে।

মেট্রোর পার্পল লাইনে মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্টেশনটি পড়বে। মাঝেরহাটের ভিক্টোরিয়ার আগের স্টেশনটি হবে খিদিরপুর। এবং ভিক্টোরিয়ার পরের স্টেশন হবে পার্কস্ট্রিট। তারপরই লাইনটি গিয়ে পড়বে এসপ্ল্যানেডে। এই লাইনের পুরো কাজ সম্পন্ন হলে বেহালা থেকে ধর্মতলা আসা খুবই সহজ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন- চালকদের পাশেই আছে রেল! কী কী সুবিধা পান লোকো পাইলটরা?

এই প্রসঙ্গেই জানা গিয়েছে, আগামী বছরের গোড়ার দিকে জার্মানি থেকে দুটি টানেল বোরিং মেশিন আসবে। তার পর সেই মেশিন দুটি একত্রিত করেই জোরদার হবে কাজ।