Market Price: মমতার ধমকের পরে হল কি কাজ? কতটা কমলো আলু-বেগুন-পটলের দাম? এক নজরে দেখে নিন বাজারদর

কলকাতা: আগুন হয়ে রয়েছে সবজির বাজার৷ মধ্যবিত্ত বাঙালির এমনই অবস্থা যে সবজির চেয়ে মাছ-মাংস খাওয়া তাঁদের পক্ষে বেশি সস্তার মনে হচ্ছে৷ আলু,বেগুন, টোম্যাটো, রোজের রান্নার জন্য খুব সাধারণ আনাজও কার্যত তাঁদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে, ৫০০ টাকার বাজার করলে থলেটাও ভর্তি হচ্ছে না পর্যন্ত৷ এমন পরিস্থিতিতে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে যেন বাজারদর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে৷ সেই ধমকে কিছুটা হলেও কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা৷

মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরে কিছুটা হলেও কমেছে সবজির দাম। কিন্তু এখনও বেশ কিছু সবজির দাম ১০০ পার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে বিভিন্ন বাজারগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে টাস্ক ফোর্স৷ তবুও বেশ কিছু সবজির দাম এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। বিক্রেতাদের দাবি, বাইরে থেকে যে সবজিগুলো আসছে, মূলত সেগুলিরই দাম বেশি। যদিও গত এক সপ্তাহে অনেকটাই দাম কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের।

ভবানীপুর যদুবাবুর বাজারের এদিনের বাজার দর যা জানা গিয়েছে,

আরও পড়ুন: ইসলামপুরে শ্য়ুটআউট! চুলের মুঠি ধরে বসিয়ে সামনে থেকে তৃণমূল নেতাকে পর পর গুলি, নেপথ্যে কী কারণ?

এক সপ্তাহ আগের দাম- আজকের দাম (প্রতি কিলো)

কাঁচা লঙ্কা– ১৫০-১৮০টাকা। এখন ১৫০ টাকা
ক্যাপসিকাম- ১০০টাকা। এখন ১৫০ টাকা
বিনস– ১০০ টাকা। এখন ২০০ টাকা
বেগুন– ১২০ টাকা৷ এখন ৮০ টাকা
টোম্যাটো– ৮০টাকা। এখন ৭০ টাকা
উচ্ছে– ১০০ টাকা। এখন ৮০ টাকা
লাউ– ৫০ টাকা। এখন ৩৫ টাকা
গাজর– ৬০ টাকা। এখন ৫৫টাকা
পটল– ৪০ টাকা। এখন ৬০ টাকা
বরবটি– ১০০টাকা। এখন ৭০ টাকা
শশা। -৬০ টাকা। এখন ৭০ টাকা
কুমড়ো– ২৫ টাকা। এখন ৩০ টাকা
চিচিঙ্গে– ৭০টাকা। এখন ৬০ টাকা
জ্যোতি আলু- ৩৬টাকা। এখন ৩২ টাকা
চন্দ্রমুখী আলু- ৪৫ টাকা। এখন ৪০ টাকা
পেঁয়াজ- ৫০টাকা। এখন ৪০-৫০ টাকা

গত মঙ্গলবার নবান্নে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ নির্দেশ দেন, ‘‘১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে হবে। কী করে কমাবেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমি সবাইকে দায়িত্ব দিচ্ছি। টাস্ক ফোর্সকে দায়িত্ব দিচ্ছি বিষয়টি দেখার জন্য।’’

আরও পড়ুন: অবশেষে কাটল জট! সোমবার পিএইচডি-র জন্য ভর্তি হচ্ছেন জেলবন্দি অর্ণব দাম

এদিন টাস্ক ফোর্সের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মজুতদারি ও ফোড়েদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে একটা টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দিয়েছিলাম। টাস্ক ফোর্সের কাজ ছিল বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। তারা এখন কী করছে? তারা কি নিয়মিতভাবে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করছে? নাকি নির্বাচনের সময় ৩ মাস সব ঘুমিয়ে ছিল? একটা নির্বাচন আসা মানে উন্নয়নের বারোটা বাজিয়ে দেওয়া, মানুষের উপরে চাপ দেওয়া। কেউ কোনও কিছু দেখে না। আমি এখন থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, ৭ দিন পরপর এই বৈঠক করতে হবে। সেখানে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও অর্থসচিবকেও যুক্ত করে দিলাম।’’ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম কতটা কমল, তা প্রতি সপ্তাহে তাঁকে রিপোর্ট দিয়ে জানানোর নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।