বাড়তি ওজন কিংবা স্থূলতা এখন আর শুধুমাত্র স্টাইল স্টেটমেন্ট নয়৷ এটি সুস্থ এবং ফিট থাকারও লক্ষণ৷ এখন আমরা অনেকেই জানি যে বাড়তি ওজন শরীরে একে একে মারণ সব রোগ ডেকে আনে৷তাছাড়া, সুগার, কোলেস্টেরল, হাই প্রেশার এখন প্রতি ঘরের সমস্যা৷ এমতাবস্থায় আমরা প্রত্যেকেই জীবযাত্রার অভ্যাসে কিছু সুস্থ পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে থাকি৷এই প্রতিবেদনে আমরা এমন এক পরিচিত দ্রব্যের উপকারিতার কথা উল্লেখ করব, যা আমাদের অত্যন্ত পরিচিত, কিন্তু, আমরা তার গুণাবলির কথা জানি না বললেই চলে৷কথা হচ্ছে তিল নিয়ে৷ ছোট্ট সাদা সাদা দানা৷ কিন্তু, তাতেই লুকিয়ে পু্ষ্টিগুণের ভাণ্ডার৷ পুষ্টিবিদ কবিতা দেবগণ জানাচ্ছেন, তিলের বীজে যে শুধু ভিটামিন বি, ই, কে থাকে তাই নয়, এতে ম্যাগনেসিয়ামও থাকে, যা শরীরে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ, ক্যানসার থেকে রক্ষা করে৷তিলের বীজে ফাইটেটও রয়েছে, যা একটি বিরল যৌগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক। এতে উপস্থিত কপার শরীরে প্রদাহের সমস্যা দূর করে। জেনে নিন তিলের অন্যান্য স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কথা।তিলের বীজে অ্যামাইনো অ্যাসিড টাইরোসিনও থাকে, যা মস্তিষ্কের সেরোটোনিন কার্যকলাপের সাথে সরাসরি যুক্ত। সেরোটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে এবং বিষণ্ণতা প্রতিরোধ করে।এই বীজগুলিতে সেসামিন এবং সেসামলের মতো চর্বি দাহকারী পলিফেনল থাকে৷ যা আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি গলিয়ে দিতে সাহায্য করে৷ তিল কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর প্রভাব রয়েছে। তিলের বীজে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে।তিলে দুধের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে৷ এটি ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার৷ হাড়ে ব্যথা হলে তিল খাওয়া শুরু করা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।হৃৎপিণ্ড পরিপাকতন্ত্রের জন্য চমৎকার তিল। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজমশক্তি ঠিক থাকে। পেট সুস্থ রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, পেটে ফোলাভাব, গ্যাস ইত্যাদি প্রতিরোধ করতে পারে।তিল লাড্ডু বানিয়ে খেতে পারেন। এটি স্যুপ, সবজি, স্মুদি ইত্যাদিতে ভেজে বা না ভেজে ব্যবহার করা যেতে পারে।
