‘আমরা কারও সেন্টিমেন্টে আঘাত করতে চাইনি’, লেজেন্ডস লিগ জেতার পর বিতর্কিত ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন হরভজন সিং

ফাইনালে পাকিস্তান হারিয়ে লেজেন্ডস লিগ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে ভারতীয় প্রাক্তনদের দল। তবে টিম ইন্ডিয়াক প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একটি সেলিব্রেশন ভিডিও ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে ভিডিওটিতে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধিদের ব্যঙ্গ করেছেন ভারতীয় তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। মুখ খোলেন ভারতের প্যারা ব্যাডমিন্টন তারকা মানসী যোশীও। এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বিবৃতি শেয়ার করলেন হরভজন সিং।

লেজেন্ডস লিগ জেতার পর ও ভিডিওতে দেখা যায় ‘তওবা-তওবা’ গানের তালে যুবরাজ, হরভজন, রায়না ও গুরকিরতরা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছেন। ভাজ্জি সেই ভিডিয়োটি ট্যাগ করেন বলিউড অভিনেকা ভিকি কৌশলকেও, যাঁর সিনেমায় গানটি আসলে ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে নেট দুনিয়ায় ঝড় তোলে। তাপরই বিতর্ক শুরু হয় ভারতীয় ক্রিকেটাররা বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে মজা করেছে বা ব্যঙ্গ করেছেন।

ঘটনার সমালোচনা করে প্যারা ব্যাডমিন্টন তারকা মানসী যোশী বলেন‘আপনাদের মতো তারকাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। দয়া করে প্রতিবন্ধী মানুষদের চলাফেরার ধরন নিয়ে উপহাস করবেন না। এটা কখনই মজার হতে পারে না।’ একইসঙ্গে এই ঘটনা সমাজে খুব বাজে প্রভাব ফেলবে বলেও জানান মানসী যোশী।

এবার এই ভিডিও সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে হরভজন সিং লেখেন,”এটা শুধু পরিষ্কার করে দিতে চাই ইংল্যান্ডে চ্য়াম্পিয়নশিপ জেতার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের তওবা তওবা গানের ভিডিও নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তা ভিত্তিহীন। আমরা কারও সেন্টিমেন্টে আঘাত করতে চাইনি। আমরা সকলকে সম্মান করি। এই ভিডিও করে আমরা বোঝাতে চেয়েছিলাম ১৫ দিন টানা ক্রিকেটের ধকলের পর আমাদের কী অবস্থা। তারপরও যদি কারও মনে হয় আমরা ভুল করেছি তাহলে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দয়া করে এটা এবার বন্ধ করুন। সুস্থ থাকুন ও ভাল থাকুন। সকলকে ভালবাসা।”

প্রসঙ্গত, ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ করে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন শোয়েব মালিক। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অনুরীত সিং। রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় লেজেন্ডদের ভারতীয় দল। ৩০ বলে ৫০ করে ম্যাচের সেরা হন অম্বাতি রায়ডু। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন যুবরাজ সিং, ইরফান-ইউসুফ পাঠান ও গুরকিরত সিং মান।