কলকাতা: প্রোবায়োটিক হল আমাদের ত্বকের মধ্যে বসবাসকারী এক প্রকার অণুজীব৷ ত্বক মাইক্রোবায়োম নামক এক ধরনের অণুজীবের সমন্বয়ে গঠিত। এই মাইক্রোবায়োমের অভাবে সোরিয়াসিস, ব্রণ, এটোপিক ডার্মাটাইটিস এবং রোসেসিয়ার মতো ত্বকের নানা অসুখ দেখা যায়৷
ডার্মাটোলজিস্ট ডা. অতুলা গুপ্ত বলেন ত্বকে এই অণুজীবের ভারসম্যের অভাবকে ডিসবায়োসিস বলে৷ মূলত প্রতিদিনের চাপ, ক্লান্তি, পরিবেশদূষণের কারণেই এই ধরনের অসুখ হয়৷
আরও পড়ুন: ল্যাপটপ ও ফোন থেকে চোখের সাঙ্ঘাতিক হয়ে যাচ্ছে, এই কয়েকটা উপায়ে চোখকে সুস্থ রাখুন
প্রোবায়োটিক ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এইগুলো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে বাধা দিয়ে, উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে বংশবিস্তার করতে সাহায্য করে৷ এর ফলে ত্বকের মাইক্রোবায়োমের ভারসম্য বজায় থাকে৷
অ্যাকনে, ব্রণ, ডার্মাটোসাইটিস, খুশকি প্রভৃতি ত্বকের সমস্যা দূর করতে প্রোবায়োটিকের জুড়ি মেলা ভার৷ দেখে নিন কোন কোন খাবার এই উপাদানে সমৃদ্ধ৷
রসুন: কাঁচা রসুনের মধ্যে অনেকটা পরিমামে প্রোবায়োটিক থাকে৷ ১৭.৫ শতাংশের মতো প্রোবায়োটিক থাকে এতে৷
বাটার মিল্ক: বাটার মিল্কের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন৷
টকদই: প্রোবায়োটিকের জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না৷ দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকেও লাগাতে পারেন৷ যা মুখের ত্বক ও স্ক্যাল্পের জন্য অত্যন্ত উপকারী৷
কলা: কলাতেও যথেষ্ট পরিমাণে প্রোবায়োটিক থাকে৷ এই ফলটিও ত্বকে লাগাতে পারেন৷ এতেও ত্বক সুস্থ থাকবে৷